উৎস:
ইসলাহী নেসাব: তা’লীমুদ্দীন
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

শিরকের প্রকারভেদ

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
‘যে কেউ রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাবো যেদিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থল। নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তার সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে সূদুর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর আরাধনা করে এবং শুধু অবাধ্য শয়তানের পূজা করে। যার প্রতি আল্লাহ অভিশম্পাত করেছেন। শয়তান বললো, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশগ্রহণ করবো। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবো, তাদেরকে আশ্বাস দেবো, তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলবো এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেবো। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব প্রতারণা বৈ নয়।’
(সূরা আন-নিসা ১১৫-১২০)
উপরোক্ত আয়াতসমূহ দ্বারা বিদআত, শিরক, অজ্ঞতা প্রসূত রুসুম-রেওয়াজ ও শয়তানের অনুসরণ-অনুকরণের নিন্দা পরিষ্কারভাবে জানা গেলো। এসব কাজে লিপ্ত হওয়ার ফলে যেহেতু তাওহীদ ও রিসালাতের বিশ্বাসে ত্রুটি এবং ঈমানের মধ্যে অন্ধকার ও মলিনতার সৃষ্টি হয়, তাই ইসলামের আকীদাসমূহ উল্লেখ করার পর কিছু ভ্রান্ত আকীদা, ভ্রান্ত রুসুম-রেওয়াজ এবং অধিক প্রচলিত বড় বড় কিছু গুনাহের কথা বর্ণনা করা সমীচীন মনে হচ্ছে। যাতে করে মানুষ এসব জেনে সেগুলো থেকে বাঁচতে পারে। এর মধ্যে কিছু বিষয় রয়েছে পুরোপুরি কুফরী ও শিরকী, আর কিছু রয়েছে কুফর ও শিরকীর কাছাকাছি। কিছু রয়েছে বিদআত ও গুমরাহী, আর কিছু রয়েছে নিন্দনীয়, অপছন্দনীয় ও পাপকাজ। মোটকথা, এর সবগুলো থেকে বাঁচা জরুরী। ঈমানের জন্য ক্ষতিকর এ সমস্ত বিষয়ের আলোচনার পর ঈমানের শাখাসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করবো। কারণ, এগুলো দ্বারা ঈমানের পূর্ণতা লাভ হয়। তারপর গুনাহের জাগতিক ক্ষতি এবং নেক কাজের পার্থিব উপকারিতা সংক্ষেপে উল্লেখ করবো। কারণ, মানুষ দুনিয়ার লাভ-লোকসানকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। হয়তো ইহকালীন লাভ-লোকসানের প্রতি লক্ষ্য করেই কিছুটা নেক আমল করার এবং গুনাহ থেকে বাঁচার তাওফীক হবে। সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকায় সবগুলোর দলীল লেখার সুযোগ নেই, বিধায় প্রসিদ্ধির ভিত্তিতে দলীল লিপিবদ্ধ করা থেকে বিরত থাকা হচ্ছে।

ইলম সংক্রান্ত শিরকঃ

১. কোন পীর বা বুযুর্গ সম্পর্কে এ বিশ্বাস রাখা যে, আমাদের সব অবস্থা সম্পর্কে তিনি সবসময় অবগত আছেন।
২. গণক বা জ্যোতিষীর নিকট অদৃশ্য সংবাদ জিজ্ঞাসা করা।
৩. কোন বুযুর্গের কথা থেকে শুভ-অশুভ লক্ষণ বের করে তাকে নিশ্চিত মনে করা।
৪. কাউকে দূর থেকে ডাকা এবং এ কথা মনে করা যে, সে আমার ডাক শুনতে পেয়েছে।
৫. কারো নামে রোযা রাখা এ সবই শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

ক্ষমতা বিষয়ক শিরকঃ

১. কাউকে লাভ-লোকসানের মালিক মনে করা।
২. কারো নিকট কাংখিত বস্ত্ত কামনা করা বা রুজি ও সন্তান চাওয়া।
এগুলো ক্ষমতা বিষয়ক শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

ইবাদত সংক্রান্ত শিরকঃ

১. কাউকে সিজদা করা।
২. কারো নামে পশু ছেড়ে দেওয়া বা ভোগ দেওয়া বা উৎসর্গ করা।
৩. কারো নামে মান্নত মানা।
৪. কারো কবর (মাযার) বা বাড়ী প্রদক্ষিণ করা।
৫. আল্লাহর হুকুমের মোকাবেলায় অন্য কারো কথা বা প্রচলিত প্রথাকে প্রাধান্য দেওয়া।
৬. কারো সামনে মাথা নত করা বা মূর্তির মত নিরব-নিথর দাঁড়িয়ে থাকা।
৭. নিশান উড়ানো বা পতাকা মিছিল করা।
৮. তাজিয়া বা নকল কবর ধারণ করা।
৯. বেদীমূলে পাঠা উৎসর্গ করা।
১০. কারো নামে পশু জবাই করা।
১১. কারো দোহাই দেওয়া।
১২. কোনো জায়গার কাবাঘরের ন্যায় আদব-সম্মান করা।

উপরোক্ত বিষয়সমূহ ইবাদত সংক্রান্ত শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

অভ্যাস ও কাজে শিরকঃ

১. কারো নামে শিশুর নাক-কান ছিদ্র করা, বালি পরানো।
২. কারো নামের পয়সা বাহুতে বাঁধা, বা গলায় চাড়া বাঁধা।
৩. টোপর বাঁধা, টিকি রাখা, পৈতা পরানো।
৪. বৈষ্ণ-ভিক্ষু বানানো।
৫. ‘আলী বখশ’, ‘হুসাইন বখশ’ নাম রাখা।
৬. কোন জিনিসকে অস্পৃশ্য মনে করা।
৭. কোন পশুর উপর কারো নাম লাগিয়ে তার সম্মান করা।
৮. মুহররম মাসে পান না খাওয়া, লাল কাপড় না পরা।
৯. স্ত্রীর উচ্ছিষ্ট স্বামীকে খেতে না দেওয়া।
১০. বিশ্বজগতের কাজ কারবারকে নক্ষত্রের প্রভাব মনে করা।
১১. শুভ-অশুভ দিন-তারিখ জিজ্ঞাসা করা।
১২. গণক, জ্যোতিষী বা জিনে আক্রান্ত ব্যক্তির নিকট গোপন কথা জিজ্ঞাসা করা।
১৩. লক্ষণের ভিত্তিতে শুভ-অশুভ নির্ধারণ করা।
১৪. কোন মাসকে অশুভ মনে করা।
১৫. কোন বুযুর্গের নাম ওযীফারূপে জপা।
১৬. এরূপ বলা যে, আল্লাহ ও রাসূল চাইলে অমুক কাজ হবে। বা এরূপ বলা যে উপরে আল্লাহ নিচে তুমি।
১৭. (আল্লাহ ব্যতীত অন্য) কারো নামে শপথ করা।
১৮. কাউকে ‘শাহানশাহ’ বা সকল বাদশাহর বাদশাহ বলা।
১৯. ছবি রাখা, বিশেষতঃ কোন বুযুর্গের ছবি বরকতের জন্য রাখা ও তার সম্মান করা।

কবর সংক্রান্ত বিদআতসমূহঃ

১. কবরে ধুমধাম করে মেলা করা।
২. অধিক হারে প্রদীপ জ্বালানো (বা আলোকসজ্জা করা)।
৩. মহিলারা কবরস্থানে যাওয়া।
৪. চাদর দিয়ে কবর ঢেকে দেওয়া।
৫. কবর পাকা করা।
৬. ওলীদেরকে খুশী করার জন্য কবরের সীমাতিরিক্ত সম্মান করা।
৭. কবরকে চুমু দেওয়া।
৮. কবরের তাওয়াফ করা বা সিজদা করা।
৯. দ্বীন ও দুনিয়ার কাজের ক্ষতি করে গুরুত্ব সহকারে দরগাহ যিয়ারত করার জন্য ভ্রমন করা।
১০. সেখানে গানবাদ্য বাজানো।
১১. কবরকে উঁচু করা।
১২. কবরে চিত্রাংকন করা।
১৩. ফুলের মালা দেওয়া।
১৪. কবরমুখী হয়ে নামায পড়া।
১৫. কবরের উপর ভবন নির্মাণ করা।
১৬. পাথর ইত্যাদিতে কিছু লিখে লাগানো।
১৭. চাদর, সামিয়ানা, ঢোল, খাদ্য, মিষ্টি ইত্যাদি উৎসর্গ করা।
১৮. উরস করা বা উরসে অংশগ্রহণ করা।

প্রচলিত প্রথাসংক্রান্ত বিদআতসমূহঃ

১. কারো মৃত্যুর তৃতীয় ও চল্লিশতম দিনে অনুষ্ঠান করা জরুরী মনে করা।
২. প্রয়োজন সত্ত্বেও মহিলাদের দ্বিতীয় বিবাহকে দোষণীয় মনে করা।
৩. বিবাহ, খাৎনা, বিসমিল্লাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সামর্থ্য না থাকলেও বংশীয় যাবতীয় প্রথা পালন করা।
৪. বিশেষতঃ নাচগান করা এবং রং ছড়ানো।
৫. বসন্ত উৎসব ও দেওয়ালী পালন করা।
৬. পুরুষের জন্য মেহেদী, লাল কাপড়, বালা, তামার রিং বা বহুসংখ্যক আংটি পরা।
৭. সালামের পরিবর্তে নমস্কার, কুর্নিশ ইত্যাদি বলা।
৮. মহিলাদের নির্দ্বিধায় দেবর, ভাসুর, ফুফাতো (চাচাতো, মামাতো) ও খালাতো ভাইয়ের সম্মুখে যাওয়া। নদী থেকে কলসী ভরে গানবাদ্য করতে করতে নিয়ে আসা।
৯. রাগ-সঙ্গীত শোনা। বিশেষতঃ একে ইবাদত মনে করা।
১০. বংশ কৌলীন্যের উপর গর্ব করা বা কোন বুযু্র্গের সাথে সম্পৃক্ত হওয়াকে যথেষ্ট মনে করা।
১১. কারো বংশ কুলীন না হওয়ায় খোটা দেওয়া।
১২. কোন পেশাকে হেয় মনে করা।
১৩. সালাম দেওয়াকে বেয়াদবী মনে করা।
১৪. চিঠির মধ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর নিজেকে দাস বলে উল্লেখ করা।
১৫. কারো প্রশংসার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন করা।
১৬. বিবাহ অনুষ্ঠানে অপচয়, অর্থহীন কাজ ও হিন্দুদের প্রথা পালন করা।
১৭. বরের জন্য শরীয়ত বিরোধী পোশাক পরা।
১৮. আতবাজী ও পটকার ব্যবস্থা করা।
১৯. অপ্রয়োজনীয় প্রদর্শনী করা।
২০. প্রচুর পরিমাণ অগ্নিমশাল নিয়ে যাওয়া।
২১. মহিলাদের ভিতর দিয়ে বরের ঘরে যাওয়া।
২২. চৌথি খেলা।
২৩. বেশী পরিমাণে মোহর নির্ধারণ করা।
২৪. টোপর পরা।
২৫. শোকের সময় চিৎকার করে কাঁদা। মুখ ও বুকে আঘাত করা।
২৬. (মৃতের) ব্যবহৃত কলসী ভেঙ্গে ফেলা।
২৭. একবছর বা তার চেয়ে কমবেশী সময় ঐ বাড়ীতে ধর্মাচার পালন না করা।
২৮. কোন আনন্দানুষ্ঠান না করা।
২৯. নির্দিষ্ট কোন তারিখে পুনরায় শোক পালন করা।
৩০. সীমাতিরিক্ত সাজসজ্জায় লিপ্ত হওয়া।
৩১. সহজ-সরল বেশভূষাকে দোষণীয় মনে করা।
৩২. বাড়ীতে ছবি ঝুলানো।
৩৩. পুরুষের রেশমী পোশাক পরিধান করা।
৩৪. স্বর্ণ-চাঁদীর তৈলদানী ব্যবহার করা।
৩৫. মহিলাদের অত্যাধিক পাতলা কাপড় পরিধান করা বা বাজনা বিশিষ্ট গহনা পরিধান করা।
৩৬. অমুসলিমদের বেশভূষা অবলম্বন করা।
৩৭. মেলায় যাওয়া।
৩৮. ধুতি পরা।
৩৯. ছেলেদেরকে গহনা পরানো।
৪০. দাড়ি মুন্ডানো, (এক মুষ্টির চেয়ে ছোট থাকতে বা এক মুষ্টির চেয়ে ছোট করে) কাটা বা উপড়ানো।
৪১. মোঁচ বড় করা।
৪২. (টাখনু) গিরার নিচে পায়জামা পরা।
৪৩. পুরুষের জন্য মহিলার এবং মহিলার জন্য পুরুষের বেশ ধারণ করা।
৪৪. শুধুমাত্র সাজসজ্জার জন্য ঘের ও চাঁদোয়া লাগানো।
৪৫. কালো খেজাব (কলপ) করা।
৪৬. জাদু-টোনা করা।
৪৭. কোন জিনিসকে অশুভ মনে করা।
৪৮. উল্কি আঁকা।
৪৯. সাদা চুল উপড়ানো।
৫০. কামভাবের সাথে কোলাকুলি করা বা হাত ধরা।
৫১. পুরুষের জন্য কুসুম ও জাফরান রংয়ের কাপড় পরা।
৫২. দাবা, তাস ইত্যাদি খেলা।
৫৩. শরীয়তবিরোধী ঝাড়-ফুঁক করা।

এ জাতীয় আরো অনেক কিছুই বিদআতের অন্তর্ভুক্ত। এখানে নমুনা স্বরুপ কিছু বিষয় বর্ণনা করা হলো, অন্যগুলো এগুলোর উপর অনুমান করে নিবে।

কবীরা গুনাহের আলোচনাঃ

১. আল্লাহর সাথে শরীক করা।
২. অন্যায়ভাবে (কাউকে) হত্যা করা।
৩. মা-বাবাকে কষ্ট দেওয়া।
৪. ব্যভিচার করা।
৫. ইয়াতিমের মাল খাওয়া।
৬. কোন মহিলাকে যেনার মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।
৭. দ্বিগুণ সংখ্যক শত্রুর লড়াই থেকে পলায়ন করা (এর থেকে বেশী সংখ্যক হলে আত্মরক্ষার জন্য আসতে পারে)।
৮. মদপান করা।
৯. জুলুম করা।
১০. কারো অসাক্ষাতে তার দোষচর্চা করা।
১১. কারো সম্পর্কে কুধারণা পোষণ করা।
১২. নিজেকে অন্যের চেয়ে ভালো জ্ঞান করা।
১৩. আল্লাহকে ভয় না করা।
১৪. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া।
১৫. কারো সাথে ওয়াদা করে তা পুরা না করা।
১৬. প্রতিবেশীর কন্যা-জায়ার প্রতি কুদৃষ্টি দেওয়া।
১৭. কারো আমানতে খিয়ানত করা।
১৮. আল্লাহ প্রদত্ত ফরয বিধান-যেমন নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি পরিত্যাগ করা ইত্যাদি।
১৯. কুরআন শরীফ পড়ে ভুলে যাওয়া।
২০. সত্য সাক্ষ্য গোপন করা।
২১. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।
২২. মিথ্যা বলা।
২৩. বিশেষতঃ মিথ্যা কসম খাওয়া, যার দ্বারা কারো জান, মাল বা সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২৪. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা।
২৫. আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করা।
২৬. জুমুআর নামায না পড়া।
২৭. সর্বদা নামায ত্যাগ করা।
২৮. মুসলমানকে কাফির বলা।
২৯. কারো গীবত শোনা।
৩০. চুরি করা।
৩১. জালেমের তোষামোদ করা।
৩২. সুদ বা ঘুষ নেওয়া।
৩৩. মামলার মিথ্যা রায় দেওয়া।
৩৪. পণ্য লেনদেনে কম দেওয়া।
৩৫. মূল্য নির্ধারণ করে পরিশোধ করার সময় জোর করে কম দেওয়া।
৩৬. বালকদের সঙ্গে অপকর্ম করা।
৩৭. ঋতুকালীন সময় স্ত্রী সহবাস করা।
৩৮. বাজার মূল্য বৃদ্ধিতে আনন্দিত হওয়া।
৩৯. পরনারীর নিকট নির্জনে বসা।
৪০. পশুর সাথে অপকর্ম করা।
৪১. জুয়া খেলা।
৪২. কাফিরদের রীতিনীতি পছন্দ করা।
৪৩. গণক-জ্যোতিষীর কথা সত্য মনে করা।
৪৪. নিজের ইবাদত ও পরহেযগারীর দাবী করা।
৪৫. কেউ মারা গেলে শোকে বুক চাপড়ানো।
৪৬. বিলাপ করে কাঁদা।
৪৭. খাদ্যের দোষ ধরা।
৪৮. নাচ দেখা।
৪৯. মানুষকে দেখার জন্য ইবাদত করা।
৫০. মনের আনন্দের জন্য গান-বাজনা শোনা।
৫১. কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা।
৫২. শক্তি থাকা সত্ত্বেও সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ না করা।
৫৩. কাউকে বিদ্রূপ করে অপমানিত করা।
৫৪. কারো দোষ খোঁজা ইত্যাদি।