উৎস:
ইসলাহী নেসাব: ফুরুউল ঈমান
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)


ঋণ পরিশোধ করা

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘আল্লাহ তাআলার পথে মৃত্যুবরণ করা ঋণ ছাড়া সব জিনিসের কাফফারা হয়ে যায়।’ (মুসলিম)

ঋণের ব্যাপারে কিছু অসতর্কতা
বন্ধুগণ! শাহাদাতের চেয়ে বড় আর কী আছে। এর দ্বারাও যখন ঋণ মাফ হয় না তাহলে আর কোন আমল দ্বারা মাফ হবে? এর দ্বারা ঋণ কত মারাত্মক বস্ত্ত তা বুঝা যায়। অধিকাংশ মানুষ এর প্রতি খেয়াল করে না। এ ব্যাপারে কয়েক ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে।
১. বিনা প্রয়োজনে কারো কাছে ঋণী হওয়া। বেশীর ভাগ সময় এমনই হয় যে, অনর্থক কাজের জন্য ঋণ নেওয়া হয়। চরম বিপদে পড়ে ঋণ নেওয়া হয়, এমন কমই হয়ে থাকে। আর বিপদগ্রস্তরা ঋণ পায়ই বা কখন? সম্পদশালীরাই বেশীর ভাগ ঋণ পেয়ে থাকে। তাহলে বলুন, তার এমন কী বিপদ হলো যে, খামাখা শখের বশে সে ঋণী হলো? সেই ঋণও আবার কোন বিবাহে নষ্ট করার জন্য, সুউচ্চ ভবন তৈরীর জন্য, বা শরীয়তবিরোধী ও যুক্তিবিরোধী শোকানুষ্ঠানের জন্য করা হয়ে থাকে। মোটকথা, সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জনের কাজে ব্যয় করার জন্য ঋণ নেওয়া হয়। উপরন্ত্ত আল্লাহর মেহেরবাণীতে সুনামও ভাগ্যে জোটে না। আর যদি সুনাম হয়ও তার কী দাম আছে? আর কিয়ামতের দিন এর চেয়ে বড় বদনাম হবে তার কোন পরোয়াই করে না।
২. আরেকটি অনিয়ম হলো নিজের গহনা-সম্পদ ঠিক রাখা, আর অন্যের থেকে সুদের ভিত্তিতে ঋণ নেওয়া। কয়েক দিনের মধ্যে ঋণ দ্বিগুণ-চতুর্থগুণ হয়ে সমস্ত গহনা ও সম্পদ খতম হয়ে যায়। আর ক্ষতি ও গুনাহ উদ্ধৃত থেকে যায়। খুব বেশী যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে হাতের জিনিসের কোনই মুহাব্বত করবে না। আল্লাহ তাআলা আবার দান করবেন। নিজের আরাম ও নিরাপত্তার সামনে গহনা ও সম্পদের কী মূল্য আছে?
৩. আরেকটি অনিয়ম এই যে, ঋণ নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। এটা নিয়ে চিন্তা করা, অল্প অল্প করে আদায় করা, নিজের অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করে আমদানী থেকে উদ্ধৃত করে কিছু কিছু করে পরিশোধ করার চিন্তা করে না। ফলে দুর্নামগ্রস্ত হয়, অপমানিত হয়। কিছু নিলে দিতে চায় না বলে প্রসিদ্ধ হয়ে যায়। মানুষের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে যায়। মানুষ তার সাথে লেনদেন করতে ভয় পায়। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আখিরাতে ধরা খাওয়াতো আছেই। তবে মারাত্মক প্রয়োজনে ঋণ নিলে এবং পরিশোধ করার চিন্তা থাকলে হাদীস শরীফে এসেছে যে, আল্লাহ তাআলা এ রকম ঋণের দায়িত্ব নেন। হয় দুনিয়াতে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দেন। কিংবা আখিরাতে পাওনাদারকে খুশী করে দেন।

ব্যবসার ক্ষেত্রে সততা রক্ষা করা
হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘সত্যবাদী, আমানতদার ব্যবসায়ী নবী, সিদ্দিক ও শহীদগণের সাথে থাকবে।’ (তিরমিযী, দারামী, দারাকুতনী)
হযরত হাকীম বিন হিযাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে-
‘ক্রেতা ও বিক্রেতা যদি সত্য বলে এবং নিজ নিজ মালের দোষত্রুটি প্রকাশ করে, তাহলে তাদের জন্য ব্যবসায় বরকত হয়। আর যদি গোপন রাখে এবং মিথ্যা বলে তাহলে তাদের কারবারের বরকত উঠিয়ে নেওয়া হয়।’ (বুখারী, মুসলিম)
হযরত আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘হালাল জীবিকা তালাশ করা ফরয, নির্দিষ্ট ফরযসমূহ (নামায, রোযা ইত্যাদি) এর পর।’
হাদীসটি ইমাম বাইহাকী (রহঃ)এর ‘শুয়াবুল ঈমান’এ বর্ণিত আছে।
হযরত রাফে’ বিন খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে-
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো-‘হে আল্লাহর রাসূল! কোন কামাই সর্বাধিক পবিত্র? তিনি বললেন-হাতের কামাই এবং ঐ ব্যবসা, যা ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে মুক্ত হয়।’ (আহমাদ)
অর্থঃ ‘ঐ দেহ বেহেশতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা প্রতিপালিত। যে দেহ হারাম দ্বারা প্রতিপালিত, তার জন্য দোযখই অধিক উপযুক্ত।’
হযরত জাবের (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘আল্লাহ তাআলার রহমত নাযিল হোক ঐ ব্যক্তির উপর, যে বিক্রয়ের সময়, ক্রয়ের সময় ও নিজের হক চাওয়ার সময় নরম হয়।’ (বুখারী)
ফায়দাঃ উপরোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা কয়েকটি বিষয় জানা গেলো-
১. হালাল উপার্জন ফরয। অর্থাৎ, যে ব্যক্তির জন্য উপার্জন ছাড়া জীবিকার অন্য কোন হালাল পথ নেই তার জন্য উপার্জন করা ফরয।
২. সমস্ত উপার্জনের মধ্যে উত্তম হলো, দু’টি জিনিস। হাতের উপার্জন ও ব্যবসা। অর্থাৎ, গরীব লোকদের জন্য হাতের কামাই, আর ধনীদের জন্য ব্যবসা।
৩. ব্যবসার ক্ষেত্রে সততা ও আমানত রক্ষা করবে। ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় নিবে না। তা না হলে এতে বরকত হয় না।
৪. ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশী চাপাচাপি করবে না যে, একেকটা পয়সার জন্য লালা পড়ে বা সামান্য দাবীর জন্য অন্যের প্রাণ হরণ করে। মনুষ্যত্ব ও ভদ্রতা বলতেও একটি জিনিস আছে।
৫. হারাম খাওয়ার পরিণতি দোযখের আগুন।
অশুভ ও অবৈধ ব্যবসার বিস্তারিত বিবরণ ফিকহের কিতাবসমূহে এবং আলেমগণের নিকট থেকে জেনে নেওয়া জরুরী। অধিক প্রচলিত দু’-চারটির নাম লিখে দিচ্ছি-
১. লটারী।
২. সুদ আদান-প্রদান করা। এর মধ্যে ব্যাংক ও ডাকঘরের মুনাফাও অন্তর্ভুক্ত।
৩. মাল হস্তগত না হতেই শুধুমাত্র রশিদ আসার ভিত্তিতে তা বিক্রি করা।
৪. ছবিযুক্ত বই বা এমন বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনী ছাপানো-যার মধ্যে কোন নবী, তার পরিবার ও সাহাবীর দিকে (বানানো) ঘটনার সম্পর্ক করা হয়েছে।
৫. স্বর্ণকার বা ভাংতিদাতাদের থেকে স্বর্ণ-রুপার গহনা, কমবেশী স্বর্ণ-রুপার বিনিময়ে বা বাকীতে কেনাবেচা করা।
৬. টাকা ভাঙ্গিয়ে কিছু পয়সা সাথে সাথে নিয়ে কিছু অন্য সময় নেওয়া।

সাক্ষ্য দেওয়া
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যে সাক্ষ্য গোপন করবে, তার অন্তর পাপিষ্ঠ।’ (সূরা বাকারা-২৮৩)
হযরত যায়েদ বিন খালিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘সবচেয়ে ভালো সাক্ষী কে, তা কি আমি তোমাদেরকে বলবো না? সে ঐ ব্যক্তি, যে আবেদন করার পূর্বে সাক্ষ্য দেয়।’ (মুসলিম)

মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা মামলা এবং এ রকম মামলায় উকিল হওয়ার নিন্দা
এ আয়াত ও হাদীস দ্বারা জানা গেলো যে, সাক্ষ্য গোপন করা ঠিক নয়। বরং কোন ব্যক্তির হক নষ্ট হচ্ছে। সে কোন সাক্ষী পাচ্ছে না। অথচ আমি ঐ ঘটনা জানি এবং তার প্রত্যক্ষদর্শী এবং সে একথা জানে না যে, আমি তার ঘটনা সম্পর্কে অবগত, এমতাবস্থায় নিজের অগ্রসর হয়ে সাক্ষী দেওয়ার জন্য প্রস্ত্তত হওয়া উচিত। তার আবেদনের অপেক্ষা করবে না। কারণ, আমি যে সাক্ষী তা তো তার জানা নেই। তবে আমি জানিয়ে দেওয়ার পরেও যদি সে আমার সাক্ষ্য না চায়, তাহলে খামাখা আদালতে নিজে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া জরুরী নয়। এ বিধান হলো, সত্য সাক্ষ্যের ব্যাপারে। আর মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া-বর্তমানে যা খুব প্রচলিত-মারাত্মক গুনাহ।
হযরত খুরাইম বিন ফাতিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে-
‘একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজর নামায পড়লেন। তারপর দাঁড়িয়ে বললেন-মিথ্যা সাক্ষ্যকে শিরকের সমান (অপরাধ) সাব্যস্ত করা হয়েছে। (অর্থাৎ, কুরআন শরীফের মধ্যে) তিনি একথা তিনবার বললেন। তারপর এ আয়াত পড়লেন-তোমরা মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকো এবং মিথ্যা কথা থেকে দূরে থাকো।…’ (আবু দাউদ)
এ আয়াতে শিরক ও মিথ্যা কথাকে একত্রে আনা হয়েছে। এতে জানা গেলো যে, এতদুভয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা বা মিথ্যা শপথ করা অতীব মারাত্মক গুনাহ।
হযরত আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘যে ব্যক্তি এমন হকের দাবী করলো, যা বাস্তবে তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত থাকলো না এবং তার জাহান্নামের মধ্যে নিজের ঠিকানা বানিয়ে নেওয়া উচিত।’ (মুসলিম)
হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘যে ব্যক্তি শপথের মাধ্যমে কোন মুসলমানের হক ছিন্ন করে নিবে, (মুসলমান হওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে সাধারণত মুসলমানদের সঙ্গেই আরেক মুসলমানের কারবার হয় বলে। তা নাহলে মুসলিম ও অমুসলিম সবার হকের মর্যাদা সমান)। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তার জন্য দোযখকে ওয়াজিব করবেন এবং জান্নাতকে হারাম করবেন। জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহর রাসূল! যদিও তা সামান্য জিনিস হয়। তিনি বললেন-যদিও তা পিলু গাছের ডালই হোক না কেন।’ (মুসলিম)
এমনিভাবে মিথ্যা মামলার উকিল হওয়াও হারাম। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘তুমি খিয়ানতকারীর পক্ষ অবলম্বনকারী হয়ো না।’ (সূরা নিসা-১০৫)

বিবাহের মাধ্যমে চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘হে যুবকদল! তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রাখতে সক্ষম (অর্থাৎ, খোরপোশ দিতে এবং সহবাস করতে সক্ষম) তারা যেন বিবাহ করে। কারণ, এতে দৃষ্টি সংযত থাকে এবং লজ্জাস্থান হেফাযতে থাকে।’ (বুখারী, মুসলিম)
ফায়দাঃ যে ব্যক্তির শক্তি বা প্রয়োজন নেই, তার জন্য বিবাহ করা জরুরী নয়।

পরিবার-পরিজনের হক আদায় করা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘তোমার পরিবারের লোকদের মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করা আরম্ভ করো।’ (বুখারী, মুসলিম)
তিনি আরো ইরশাদ করেন-
‘মানুষের ব্যয়কৃত শ্রেষ্ঠ দিনার (অর্থ) ঐটি, যা মানুষ নিজের পরিবারের পিছনে ব্যয় করে।’ (মুসলিম)
তিনি আরো ইরশাদ করেন-
‘মানুষ গুনাহগার হওয়ার জন্য এমন ব্যক্তিকে ধ্বংস করা যথেষ্ট, যার খাবার তার দায়িত্বে রয়েছে।’ (আবু দাউদ)
ফায়দাঃ কারো নিকট অধিক সম্পদ না থাকলে অন্যদের তুলনায় পরিবারের লোকেরা অধিক হকদার। এমন দানশীলতা শরীয়তে প্রশংসনীয় নয় যে, আপনজনেরা ধুঁকে ধুঁকে মরবে, আর অন্য লোকের পেট পূর্ণ করবে। তবে যদি সবার খেদমত করতে পারে তাহলে তো এর চেয়ে বড় কিছু নেই।
ফায়দাঃ চাকর-বাকর ও কাজের লোক পরিবারের সদস্যদের হুকুমে। তাদের দেখাশুনা করা এবং সমব্যথী হওয়াও জরুরী।
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলো-আমি কাজের লোককে কতবার মাফ করবো? তিনি বললেন-প্রতিদিন সত্তরবার। (তিরমিযী)
এ হাদীসের উদ্দেশ্য হলো, প্রত্যেক কথা ও কাজে তার সঙ্গে কড়া আচরণ করা ও বিরক্ত হওয়া উচিত নয়। যে মানুষের দ্বারা অনেক আরাম পাওয়া যায়, তার দ্বারা দু’-একটি কষ্ট পেলে ধৈর্য ধরবে। তাকে মাযুর মনে করবে।

মাতাপিতার সেবা করা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘আল্লাহ তাআলার সন্ত্তষ্টি মাতাপিতার সন্ত্তষ্টির মধ্যে এবং আল্লাহ তাআলার অসন্ত্তষ্টি মাতাপিতার অসন্ত্তষ্টির মধ্যে।’ (তিরমিযী)
‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন-হে আল্লাহর রাসূল, সবচেয়ে বড় আমল কোনটি? তিনি বললেন-যথা সময়ে নামায পড়া। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-তারপর কোন আমল? তিনি বললেন-মা-বাবার খেদমত করা। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-তারপর কোন আমল? তিনি বললেন-আল্লাহর পথে জিহাদ করা।’ (বুখারী, মুসলিম)
ফায়দাঃ এ প্রসঙ্গে আরো আয়াত ও হাদীস রয়েছে। বর্তমানে এ ব্যাপারে অনেক ত্রুটি করা হয়। আল্লাহ তাআলা সঠিক বুঝ ও নেক আমলের তাওফীক দান করুন।