আমানত রাখার বর্ণনা

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: সাফাইয়ে মুয়ামালাত
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)
মাসআলাঃ আমানতদার ব্যক্তি পুরাপুরি হেফাযত করার পরও যদি আমানতের মাল নষ্ট হয়ে যায় বা হারিয়ে যায় তাহলে তার উপর জরিমানা আসবে না।
মাসআলাঃ মালিক তার আমানতের মাল যখনই ফেরত চাবে আমানতদারের তা ফেরত দেওয়া উচিত। চাওয়ার পরও যদি সে আপত্তি করে বা বিলম্ব করে, আর এমতাবস্থায় তা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে এ ক্ষেত্রে আমানতদারের উপর জরিমানা আসবে।
মাসআলাঃ মালিকের অনুমতি ছাড়া আমানতের জিনিস ব্যবহার করা গুনাহ। তবে মালিক যদি ব্যবহার করার বা করয দেওয়ার অনুমতি দেয়, আর ব্যবহার করার সময় কোন ক্ষতি হয় তাহলে জরিমানা আসবে না। আর যদি মালিকের অনুমতি ছাড়া আমানতের মধ্যে হস্তক্ষেপ করে, আর আমানতটি এমন জিনিস হয় যে, ব্যবহার করতে তা খরচ করতে হয় না-যেমন, কিতাব, কাপড়, ঘোড়া ইত্যাদি-যেগুলোর অস্তিত্ব অক্ষত রেখে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এমন জিনিস ব্যবহার করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরিমানা ওয়াজিব হবে না। যদিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করার কারণে তার গুনাহ হবে।
আর যদি জিনিসটি এমন হয় যে, তা ব্যবহার করতে হলে তাকে ব্যয় করতে হবে-যেমন, টাকা বা খাদ্য জাতীয় জিনিস-তাহলে তা ব্যয় করলে সর্বাবস্থায় জরিমানা ওয়াজিব হবে। যদি তার বিনিময় আমানতের মধ্যে রেখে দেয়, এবং তা মালিকের হাতে দিয়ে দেয় তাহলে এমতাবস্হায় জরিমানা থেকে মুক্ত হবে।
Leave a Reply