বন্ধক রাখার বর্ণনা

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: সাফাইয়ে মুয়ামালাত
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)
বন্ধকদাতার অনুমতিক্রমেও বন্ধকীকৃত জিনিস দ্বারা বন্ধক গ্রহণকারীর উপকৃত হওয়া হালাল নয়। যেমন কিনা বর্তমানে প্রচলন রয়েছে। সুদের আলোচনায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা চলে গেছে।
মাসআলাঃ যায়েদ আমরের নিকট থেকে অলংকার, পাত্র বা অন্য কোন জিনিস ধার এনে অন্য কারো নিকট বন্ধক রাখলো। আর আমর তার প্রয়োজনে বন্ধক গ্রহণকারীকে টাকা দিয়ে তা ছুটিয়ে আনলো তাহলে আমর যায়েদের কাছে এ টাকার দাবী করতে পারবে।
মাসআলাঃ কতক লোক বন্ধক গ্রহণের অধিকারকে বিক্রি করে দেয় এটি সম্পূর্ণ নাজায়েয। প্রথমত, বন্ধক গ্রহণের অধিকার বিক্রিযোগ্য কোন জিনিসই নয়। দ্বিতীয়ত, বন্ধক গ্রহণকারীর জন্যে বন্ধকীকৃত জিনিসের মধ্যে কোন প্রকারের হস্তক্ষেপ করা জায়েয নেই। তবে বন্ধকদাতা যদি সম্মত হয় তাহলে তার পদ্ধতি এই যে, দ্বিতীয় বন্ধক গ্রহণকারী বন্ধকের সমপরিমাণ টাকা বন্ধকদাতাকে ঋণ দিবে আর সে প্রথম বন্ধক গ্রহীতাকে এ টাকা দিয়ে নিজের বন্ধকীকৃত মাল ফেরত নিবে তারপর দ্বিতীয় বন্ধকগ্রহীতার নিকট ঐ ঋণের বিনিময়ে বন্ধক রাখবে।
Leave a Reply