উৎস:
ইসলাহী নেসাব: সাফাইয়ে মুয়ামালাত
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

এ পুস্তিকার ভূমিকায় বিশুদ্ধ লেনদেন যে দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এ ব্যাপারে যে অবহেলা করা হচ্ছে সে ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। আর পুস্তিকার শেষে এসে পরিশুদ্ধ লেনদেনের ফল তথা হালাল খাওয়ার গুরুত্ব এবং তার বরকতসমূহ এবং হারাম খাদ্যের অকল্যাণ ও অন্ধকারসমূহ উল্লেখ করা মোনাসেব মনে হচ্ছে। তাই এতদসংক্রান্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পাঁচটি হাদীসের মর্মার্থ এবং মসনবী শরীফের সাতটি শের এবং ‘নান ও হালওয়া’র পনেরটি শেরের মর্মার্থ লিপিবদ্ধ করছি। যেন সুধী পাঠক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং সচেতন হন।

মুসনাদে আহমাদ, শুয়াবুল ঈমান-বাইহাকী এবং সুনানে দায়লামীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে সমস্ত হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে তার সারকথা এই যে-
* হালাল উপার্জনও নামায-রোযার মতো ফরযসমূহের পর ফরয।
* হালাল উপার্জনের দ্বারা মানুষের দু’আ কবুল হয়।
* এক গ্রাস হারাম খাদ্য ভক্ষণের ফলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত দু’আ কবুল হয় না।
* দশ টাকার পোশাকের মধ্যে এক টাকাও যদি হারাম মাল হয় তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ পোশাক গায়ে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নামায কবুল হবে না।
* হারাম মাল দান করলে কবুল হয় না।
* হারাম মাল ব্যয় করলে বরকত হয় না।
* হারাম মাল রেখে মারা গেলে তা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
* যে দেহ হারাম মাল দ্বারা প্রতিপালিত হয়েছে তা জান্নাতে যাবে না, বরং তা দোযখেরই উপযুক্ত।