উৎস:
ইসলাহী নেসাব: জাযাউল আ’মাল
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

এতদসংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ তো তৃতীয় অধ্যায়ের শুরুতে ভালোভাবেই জানা হয়েছে। এ স্থলে মাত্র দু’চারটি আমলের রুপক আকৃতি দলীল-প্রমাণ সহ লেখাই যথেষ্ট মনে করছি।

অনুচ্ছেদ-১: ‘সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’-এর রুপকাকৃতি বৃক্ষের ন্যায়।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-মে’রাজের রাতে আমি হযরত ইবরাহীম (আঃ)এর সাথে দেখা করি। তিনি বলেন, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার উম্মতকে আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং এ সংবাদ দিবেন যে, জান্নাত উর্বর ও পরিচ্ছন্ন মাটি এবং মিষ্টি পানি বিশিষ্ট। মূলত তা খালি ময়দান।

অনুচ্ছেদ-২: সূরা বাকারা ও আলে-ইমরানের রুপকাকৃতি মেঘখন্ড ও পাখির ঝাঁকের ন্যায়।

‘নাউওয়াস বিন সামআন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি-কিয়ামতের দিন পবিত্র কুরআন ও কুরআনের অধিকারীদেরকে-যারা তার উপর আমল করেছে-আনা হবে। সূরা বাকারা এবং আলে-ইমরান দু’টি মেঘখন্ড বা সামিয়ানার ন্যায় তার সম্মুখভাগে থাকবে। তাদের মাঝে একটি আলো থাকবে। (গবেষকদের মতে এ আলো হবে ‘বিসমিল্লাহ’র) বা এ সূরা দু’টি দলবাঁধা পাখির দু’টি ঝাঁকের ন্যায় হবে। এ দুই সূরা তাদের পাঠককারীদের পক্ষে দলীল হবে।’

হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রহঃ) বর্ণনা করেছেন।

অনুচ্ছেদ-৩: সূরা ইখলাসের রূপক আকৃতি মহলসদৃশ।
হযরত সায়ীদ বিন মুসায়্যিব (রহঃ)‘মুরসাল’ সূত্রে উদ্ধৃত করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

‘যে ব্যক্তি কুলহুওয়াল্লাহ সূরা দশবার পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরী হয়, যে বিশবার পড়ে তার জন্য দু’টি এবং যে ত্রিশবার পড়ে তার জন্য তিনটি মহল তৈরী হয়। হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন-আল্লাহর কসম! ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে তো আমরা নিজেদের জন্য অধিক মহল বানিয়ে নেবো। তিনি ইরশাদ করলেন-আল্লাহ তাআলা এর চেয়ে সচ্ছল।
হাদীসটি ইমাম দারামী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন।

অনুচ্ছেদ-৪: ‘জারি আমল’ বা সদকায়ে জারিয়ার রূপক আকৃতি ঝর্ণার মত।

উম্মুল ‘আলা আনসারীয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে-

‘আমি স্বপ্নে হযরত উসমান বিন মাযউন (রাযিঃ)এর জন্য একটি প্রবাহিত ঝর্ণা দেখতে পেলাম। আমি স্বপ্নটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট ব্যক্ত করলাম। তিনি ইরশাদ করলেন-এটি তার আমল, যা তার জন্য প্রবাহিত হচ্ছে।

হাদীসটি ইমাম বুখারী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন।

অনুচ্ছেদ-৫: দ্বীনের রূপক আকৃতি পোশাক সদৃশ।
হযরত আবু সা’য়ীদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-আমি স্বপ্নযোগে মানুষদেরকে আমার মুখোমুখি হতে দেখলাম। তারা জামা পরিহিত ছিলো। কারো জামা সিনা পর্যন্ত, কারো তার চেয়ে নীচে। হযরত উমর (রাযিঃ) যখন সামনে এলেন, তখন দেখলাম তার জামা এত বড় যে, জমিনে হেঁচড়িয়ে চলছে। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো-ইয়া রাসূলু্ল্লাহ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি এর কি ব্যাখ্যা নিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করলেন- দ্বীন।

অনুচ্ছেদ-৬: ইলমের রূপক আকৃতি দুধ সদৃশ।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)হতে বর্ণিত আছে যে, আমি রাসূলু্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে শুনেছি, স্বপ্নে আমার নিকট দুধের একটি পেয়ালা আনা হলো। আমি তা থেকে পান করলাম। এমনকি তার পরিতৃপ্তির প্রভাব নখসমূহ থেকে বের হতে থাকলো। তারপর অতিরিক্তটুকু হযরত উমর (রাযিঃ)কে দিলাম। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো-আপনি এর কি ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বললেন, ইলম।

অনুচ্ছেদ-৭: নামাযের রূপক আকৃতি আলো সদৃশ।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের আলোচনা করে ইরশাদ করেন- ‘যে ব্যক্তি নামাযের হেফাযত করবে, নামায তার জন্য কিয়ামতের দিন আলো, দলীল ও মুক্তির কারণ হবে।’

অনুচ্ছেদ-৮: সীরাতে মুস্তাকিমের রূপক আকৃতি পুলসিরাত সদৃশ।

ইমাম গাযযালী (রহঃ) ‘হল্লে মাসায়িলে গামিযা’ গ্রন্থে বলেন যে, পুলসিরাতকে বিশ্বাস করা সঠিক। যে কথা বলা হয় যে, পুলসিরাত চুলের মত সূক্ষ্ম।এটি এর মারাত্মক ভুল ব্যাখ্যা, এটি এর সঠিক ব্যাখ্যা নয়। পুলসিরাত তো চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম। তার আর চুলের মধ্যে কোন তুলনাই হয় না। পুলসিরাতের সূ্ক্ষ্মতা রোদ ও ছায়ার মধ্যবর্তী রেখার মত, যার কোন প্রস্থ নেই। যা না ছায়ার মধ্যে গণ্য হয়, না রোদের মধ্যে। সীরাতে মুস্তাকীম বিপরীতমুখী চরিত্রের সঠিক মধ্যবর্তী রেখার নাম। যেমন, অপচয় ও কৃপণতার মধ্যবর্তী হলো, দানশীলতা। ক্রোধ ও শক্তির প্রাবল্য এবং ভীরুতার মধ্যবর্তী হলো, বীরত্ব। অপব্যয় ও কৃপণতার মধ্যবর্তী হলো, মিতব্যায়িতা। অহংকার ও লাঞ্ছনার মধ্যবর্তী হলো, বিনয়। কামভাব ও কাপুরুষতার মধ্যবর্তী হলো, সতীত্ব। এ সমস্ত চরিত্রের দু’টি প্রান্ত রয়েছে। একটি অতিরঞ্জন, আরেকটি অতি শৈথিল্য। উভয়টিই দোষণীয়। এতদুভয়ের মাঝে হলো, মধ্যবর্তী চরিত্র বা ভারসাম্যপূর্ণ চরিত্র-যা উভয় দূরপ্রান্তের মধ্যবর্তী চরিত্র। যা না অতিরঞ্জনের অন্তর্ভুক্ত, না অতি শৈথিল্যের অন্তর্ভুক্ত। এ মধ্যবর্তী চরিত্র রোদ ও ছায়ার মধ্যবর্তী রেখার ন্যায়। যা না ছায়ার মধ্যে গণ্য, না রোদের মধ্যে।

যখন আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার বান্দাদের জন্য সিরাতে মুস্তাকীমকে প্রস্থহীন রূপক আকৃতি দান করবেন, তখন প্রত্যেক মানুষের নিকট সেই সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অবিচল থাকার দাবী করা হবে। তখন যে ব্যক্তি দুনিয়াতে সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অবিচল ছিলো, অতিরঞ্জন ও অতি শৈথিল্যের প্রতি ধাবিত হয়নি। সে ঐ পুলসিরাতের উপর দিয়ে সমান্তরালে অতিক্রম করে যাবে। কোনদিকে সে ঝুঁকবেনা। কারণ, দুনিয়াতে ঐ ব্যক্তির অভ্যাস ছিলো কোন দিকে না ঝুঁকে মধ্যপন্থায় চলা। ফলে এটি তার সহজাত গুনে পরিণত হয়েছে। তাই সে সিরাতে মুস্তাকীমের উপর দিয়ে সমান্তরালে পার হয়ে যাবে। এ সমস্ত প্রমাণ দ্বারা জানা গেলো যে, আখিরাতের ব্যাপারগুলো অনিয়ন্ত্রিত নয় যে, যাকে ইচ্ছা ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করলো। যদিও আল্লাহ তাআলার সবধরনের এখতিয়ারই রয়েছে, কিন্ত্ত তার অভ্যাস ও অঙ্গিকার এমনই যে, মানুষ যেমন করবে তেমন ফল পাবে। এজন্য তিনি জায়গায় জায়গায় ইরশাদ করেছেন-

‘আল্লাহ তাআলা এমন নন যে, তাদের উপর জুলুম করবেন; বরং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুম করছিলো।’ (সূরা আনকাবূত-৪০)

তিনি আরো ইরশাদ করেন-
‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে ধাবিত হও এবং বেহেশতের দিকে-যার প্রশস্ততা আসমান ও জমিনের সমান।’ (সূরা হাদীদ-২১)
(এ দৃষ্টান্ত আমাদের বোঝানোর জন্য দিয়েছেন।)

তাই জান্নাতে প্রবেশ করা যদি সম্পূর্ণ ক্ষমতার বাইরে হয়, তাহলে তার দিকে দৌড়ানোর নির্দেশ কি করে দিলেন। মূলতঃ তার উপায় মানুষের এখতিয়ারে দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে ওয়াদা মাফিক জান্নাতে প্রবেশ করা যাবে। এ কারণেই জান্নাতের দিকে প্রতিযোগিতামূলক দৌড়ানোর নির্দেশদানের পর এমন সব আমল ও আসবাবের উল্লেখ করেছেন, যেগুলো নিশ্চিত মানুষের এখতিয়ারভুক্ত। ইরশাদ হচ্ছে-

‘জান্নাত তৈয়ার করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য। যারা সচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্ত্ততঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালোবাসেন। তারা কখনো কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য জেনেশুনে হঠকারিতা করে না।’ (সূরা আলে ইমরান ১৩৩-১৩৫)

লক্ষ্য করুন! এ আয়াতে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে, জান্নাত এমন সব লোকদের জন্য, যাদের মধ্যে অমুক অমুক গুণ রয়েছে। উক্ত সমস্ত গুণই মানুষের এখতিয়ারভুক্ত।

তারপর আরও স্পষ্টভাষায় বলেছেন যে, এসব কাজ করলেই অবশ্যই জান্নাত পাওয়া যায়। ইরশাদ হচ্ছে-
‘তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো, তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ-যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতই না চমৎকার প্রতিদান। (সূরা আলে ইমরান-১৩৬)

আমরা দুনিয়াতে দেখে থাকি যে, প্রিয় জিনিস লাভের মাধ্যম ও উপকরণও প্রিয় হয়ে থাকে। দেখো! কুলি-মজদুর জানে যে, সামানাপত্র বহন করলে পয়সা পাওয়া যাবে। তাই যাত্রীর সামানাপত্র বহন করার জন্য তারা পরস্পরে কিরূপ ঝগড়া করে। তারা সবাই চায় যে, এসব সামানা আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হোক এবং কষ্ট ও পরিশ্রম হওয়া সত্ত্বেও বোঝা বহনের মধ্যে তারা এক প্রকারের স্বাদ উপলব্ধি করে। তাহলে জান্নাত প্রিয় হবে এবং আল্লাহ তাআলার সাক্ষাত প্রিয় হবে আর তার উপকরণসমূহ অর্থাৎ, নেক আমল প্রিয় ও কাঙ্খিত হবে না কেন?

এজন্যই হাদীস শরীফে এসেছে-
অর্থঃ আমি জান্নাতের অন্বেষণকারী ঘুমিয়ে থাকে, এর সমান কোন আশ্চর্য জিনিস দেখিনি।’

যাদের অন্তর্দৃষ্টির সামনে এ রহস্য উন্মোচিত হয়েছে, তারা এ সমস্ত কষ্টকর আমলের মধ্যে নিঃসন্দেহে স্বাদ ও তৃপ্তি লাভ করে থাকে।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
‘নিঃসন্দেহে নামায অত্যন্ত কঠিন বস্ত্ত, তবে যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং যারা বিশ্বাস করে যে, তারা তাদের প্রতিপালকের সঙ্গে মিলিত হবে এবং তার নিকট প্রত্যাবর্তন করবে (তাদের জন্য নয়)।’ (সূরা বাকারা-৪৫)

অতএব নামায সহজ হওয়ার জন্য এ বিশ্বাস সহযোগী হলো যে, আমাদেরকে আমাদের রবের সাথে মিলিত হতে হবে।

সহীহ হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-
‘নামাযের মধ্যে আমার চোখের স্থিরতা অর্থাৎ, প্রশান্তি লাভ হয়।’

সুপরামর্শ

বিভিন্ন আমলের রূপক আকৃতি জানা হলো। এখন সমস্ত পুরস্কার এবং শাস্তি তোমার হাতের ভিতর। যদি চাও যে, জান্নাতের অনেক বৃক্ষ আমার অংশে আসুক, তাহলে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর’ বেশী বেশী পড়ো।

যদি চাও যে, কিয়ামতের দিন আমি ছায়ায় থাকি, তাহলে সূরা বাকারা ও আলে ইমরান তেলাওয়াত করো। কারণ, তা সামিয়ানারূপে ছায়া দিবে।

যদি জান্নাতের ঝর্ণা পেতে চাও, তাহলে সদকায়ে জারিয়া করো।

যদি খুব কাপড় পেতে চাও, তাহলে তাকওয়া ও দ্বীনকে মজবুতির সাথে ধারণ করো।

যদি জান্নাতের দুধের নহর পেতে চাও বা হাউযে কাউসার দ্বারা পরিতৃপ্ত হতে চাও, তাহলে বেশী বেশী ইলমে দ্বীন হাসিল করো।

যদি চোখের পলকে পুলসিরাত পার হতে চাও, তাহলে শরীয়তের উপর অবিচল থাকো।

যদি পুলসিরাতে নিজের কাছে আলো পেতে চাও, তাহলে নামাযের প্রতি খুব যত্নবান হও।

যদি জান্নাতে অনেক মহল পেতে চাও, তাহলে বেশী বেশী সূরা ইখলাস পড়ো। এভাবে যে নেয়ামতই তুমি পেতে চাও তার উপায় গ্রহণ করো। তাহলে এ সমস্ত উপায় ও মাধ্যমকে ঐ সমস্ত নেয়ামত রূপে তুমি পেয়ে যাবে।

অতি মহান সেই সত্তা, যিনি ওয়াদার বিপরীত করেন না এবং নেককারদের প্রতিদান নষ্ট করেন না।