অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত ঈমানের শাখাসমূহের বর্ণনা – ৫

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: ফুরুউল ঈমান
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)
লজ্জা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘লজ্জা ঈমানের (অন্যতম) একটি শাখা।’ (বুখারী, মুসলিম)
আল্লাহকে লজ্জা করার পদ্ধতি
লজ্জা একটি অপূর্ব জিনিস। যে ব্যক্তি মানুষকে লজ্জা করবে তার দ্বারা এমন আচরণ হবে না, যা মানুষ অপছন্দ করে, আর যে আল্লাহকে লজ্জা করবে, সে এমন সব কাজ থেকে দূরে থাকবে, যেগুলো আল্লাহ অপছন্দ করেন। মানুষকে লজ্জা করা তো একটি স্বভাবজাত বিষয়। তবে আল্লাহকে লজ্জা করার পদ্ধতি শিখে নেওয়া জরুরী। আর সে পদ্ধতি হলো-নিরিবিলি কোন সময় নির্ধারণ করে, নির্জনে বসে নিজের পাপসমূহ এবং আল্লাহ তাআলার নিয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করবে। এরুপ করতে থাকলে কিছুদিনের
মধ্যে লজ্জার এ গুণটি আপনাআপনি অন্তরে জন্ম নিবে। ফলে, ঈমানের বড় একটি শাখা হাতে এসে যাবে।
কৃতজ্ঞতা
কৃতজ্ঞতা দু’প্রকার। এক হলো, আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করা। কারণ, তিনিই প্রকৃত নিয়ামত দানকারী। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘তোমরা আমার শোকর আদায় করো, নাশোকরী করো না।’ (সূরা বাকারা-১৫২)
আর দ্বিতীয় প্রকার হলো-মানুষের শোকর আদায় করা, যারা আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতপ্রাপ্তির মাধ্যম তাদের শোকর আদায় করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
অর্থাৎ, যে মানুষের শোকর আদায় করলো না, সে আল্লাহর শোকর আদায় করলো না।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন-
‘কোন ব্যক্তি কারো থেকে কিছু পেলে সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে সে তার বিনিময় দিবে, আর তা না থাকলে ঐ জিনিস প্রদানকারীর গুণ ও প্রশংসা করবে, যদি গুণ ও প্রশংসা করে তাহলে সে তার শোকর আদায় করলো, আর যদি তা গোপন করে তাহলে সে নাশোকরী করলো।’
শোকরের হাকীকত
শোকরের হাকীকত হলো, নিয়ামতের মূল্যায়ন করা। যখন নিয়ামতের মূল্যায়ন করা হবে, তখন নিয়ামত দাতার মূল্যায়নও অবশ্যই করা হবে এবং যার মাধ্যমে ঐ নিয়ামত পৌঁছেছে, তারও মূল্যায়ন করা হবে। এভাবে স্রষ্টা ও সৃষ্টি উভয়েরই কৃতজ্ঞতা আদায় হবে।
এবার বুঝে নাও, অন্তরে যার মূল্যায়ন থাকে তাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়, ভালোবাসা হয় এবং তার কথা মানতেও মন বাধ্য হয়। তাই আল্লাহর শোকরের পূর্ণতা হলো, অন্তরে তার শ্রদ্ধা, মুখে তার প্রশংসা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা যতদূর সম্ভব তার বিধি-নিষেধ পরিপূর্ণরুপে বাস্তবায়ন করা। শোকরের ব্যাপক অর্থের মূল কথা এটাই। অন্তর, জিহ্বা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার বাস্তবায়ন ক্ষেত্র।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় উপলব্ধি করা জরুরী যে, যাদের মাধ্যমে নিয়ামত পাওয়া যায়, তাদেরও কৃতজ্ঞতা আদায় করা যখন জরুরী, তখন এর দ্বারা উস্তাদ ও পীর প্রমুখের হকও প্রমাণিত হয়। এদের মাধ্যমে ইলমে দ্বীন, মা’রেফাত ও ইয়াকীনের মত প্রকৃত নিয়ামতসমূহ লাভ হয়। বলা বাহল্য যে, নিয়ামত যত বড় হবে, যাদের মাধ্যমে সে নিয়ামত পাওয়া যাবে, তাদের হকও তত বড় হবে। এর দ্বারা উস্তাদ ও পীরের হক কত বড়. তা সহজেই প্রতীয়মান হয়। আফসোস! এ যুগে উস্তাদ ও পীরের
সাথে সম্পর্ক এতই দুর্বল হয়ে গেছে যে, তাদের কোন গুরুত্বই দেওয়া হয় না। তাই আমি অতি সংক্ষেপে এতদুভয়ের হকসমূহ পৃথক পৃথক শিরোনামে লিখে দিচ্ছি। বাকী তাওফীক দানের মালিক আল্লাহ।
উস্তাদের হক
১. উস্তাদের নিকট মিসওয়াক করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে যাবে।
২. আদব রক্ষা করে চলবে।
৩. ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে তার দিকে তাকাবে।
৪. তিনি যা বলেন, খুব মনোযোগ সহ তা শুনবে।
৫. তার কথাগুলো গুরুত্বের সাথে মনে রাখবে।
৬. কোন কথা বুঝে না আসলে নিজের ত্রুটি মনে করবে।
৭. তার সম্মুখে তার মতের বিপরীত অন্য কারো মত ব্যক্ত করবে না।
৮. কেউ উস্তাদকে মন্দ বললে যথাসম্ভব তা প্রতিহত করবে, আর তা না হলে সেখান থেকে উঠে চলে যাবে।
৯. উস্তাদের নিকট সমবেত লোকদের কাছে পৌঁছে উপস্থিত সকলকে সালাম দিবে, তারপর উস্তাদকে বিশেষভাবে সালাম দিবে। তবে যদি তিনি পাঠদান, বক্তৃতা প্রদান ইত্যাদি কাজে রত থাকেন, তখন তাকে সালাম করবে না।
১০. উস্তাদের সম্মুখে হাসবে না, বেশী কথা বলবে না, এদিক ওদিক তাকাবে না। অন্য কোন দিকে মনোযোগ দিবে না।
১১. উস্তাদের কঠোরতাকে সহ্য করবে।
১২. তার কঠোর আচরণের কারণে তার কাছে যাওয়া বন্ধ করবে না। তার যোগ্যতা ও পূর্ণতার ব্যাপার অবিশ্বাস করবে না। বরং তার কাজ ও কথার উপযুক্ত ব্যাখ্যা করে নিবে।
১৩. উস্তাদ কাজে মগ্ন, বিরক্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত, তন্দ্রাযুক্ত বা অন্য যে কোন সমস্যাযুক্ত থাকলে-যার ফলে পাঠদান কষ্টকর হলে বা একাগ্রতার সাথে সম্ভব না হলে-পাঠ গ্রহণ করবে না।
১৪. তার অনুপস্থিতিতেও তার হকসমূহের প্রতি লক্ষ্য রাখবে।
১৫. মাঝে মাঝে হাদিয়া, তোহফা দিয়ে এবং চিঠিপত্র দিয়ে তাকে খুশী করবে।
উস্তাদের আরো হক রয়েছে। বুদ্ধিমানের জন্য এতটুকু লেখাই যথেষ্ট এবং এগুলোর দ্বারা অন্যান্য হকও সে বুঝতে পারবে।
পীরের হক
উপরে উস্তাদের যে সমস্ত হক লেখা হলো, এগুলো পীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তার আরো কিছু হক রয়েছে। সেগুলো নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হলো-
১. এ বিশ্বাস পোষণ করবে যে, আমার উদ্দেশ্য এ পীরের মাধ্যমেই লাভ হবে। অন্যদিকে মনোযোগ দিলে পীরের ফয়েয-বরকত থেকে বঞ্চিত থাকবে।
২. সর্বোতভাবে পীরের আনুগত্য করবে। জানমাল দিয়ে তার খেদমত করবে। কারণ, পীরের মুহাব্বত ছাড়া কোন কাজ হয় না। আর মুহাব্বতের পরিচয় এটিই।
৩. পীর যা বলবে তা অবিলম্বে পালন করবে। তার অনুমতি ছাড়া তার কাজের অনুসরণ করবে না। কারণ, অনেক সময় সে তার নিজের অবস্থা ও অবস্থান অনুপাতে একটি কাজ করে, যা করা মুরীদের জন্য প্রাণনাশক বিষতুল্য।
৪. পীর যে সমস্ত যিকির ও ওযীফা দেন, শুধু তাই পড়বে। অন্য সব ওযীফা ছেড়ে দিবে। চাই সেগুলো নিজেই পড়তে আরম্ভ করে থাকুক, বা অন্য কেউ বলে দিয়ে থাকুক।
৫. পীরের উপস্থিতিতে আপাদমস্তক তারই দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ রাখবে, এমনকি ফরয ও সুন্নাত ছাড়া নফল নামায ও অন্য কোন ওযীফা তার অনুমতি ছাড়া পাঠ করবে না।
৬. যতদূর সম্ভব এমন জায়গায় দাঁড়াবে না, যেখানে দাঁড়ালে তার ছায়া মুর্শিদের ছায়া বা তার কাপড়ের উপর পতিত হয়।
৭. তার জায়নামাযের উপর পা রাখবে না।
৮. তার পবিত্রতা ও ওযু করার জায়গায় পবিত্রতা অর্জন করবে না ও ওযু করবে না।
৯. পীরের ব্যবহারের পাত্রসমূহ ব্যবহার করবে না।
১০. তার সামনে খাবার খাবে না। পানি পান করবে না। ওযু করবে না। হাঁ তার অনুমতিক্রমে হলে কোন দোষ নেই।
১১. তার সম্মুখে কারো সঙ্গে কথা বলবে না, এমনকি কারো দিকে মনোযোগও দিবে না।
১২. যে জায়গায় পীর সাহেব বসেছেন, সেদিকে পা ছড়িয়ে বসবে না, যদিও তিনি সম্মুখে না থাকেন।
১৩. যে জায়গায় পীর সাহেব বসেছেন সেদিকে থুথু নিক্ষেপ করবে না।
১৪. পীর সাহেব যা বলেন বা করেন তার প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। কারণ, তিনি যা কিছু করেন বা বলেন, তা ইলহামের ভিত্তিতে করেন এবং বলেন। কোন বিষয় বুঝে না আসলে হযরত মুসা (আঃ) এবং খিযির (আঃ) এর ঘটনা স্মরণ করবে।
১৫. নিজের পীর সাহেব থেকে কোন কারামত প্রকাশ পাওয়ার ইচ্ছা করবে না।
১৬. মনে কোন সন্দেহ দেখা দিলে সাথে সাথে তা পীর সাহেবকে জানাবে। যদি সে সন্দেহ নিরসন না হয়, তাহলে নিজের বুঝের ত্রুটি মনে করবে। আর যদি পীর সাহেব তার কোন উত্তর না দেন, তাহলে বুঝবে যে, আমি এর উত্তরের উপযুক্ত নই।
১৭. স্বপ্নে যা কিছু দেখবে তা পীর সাহেবকে জানাবে, আর যদি তার কোন ব্যাখ্যা বুঝে আসে, তাহলে তাও তাকে জানাবে।
১৮. বিনা প্রয়োজনে এবং বিনা অনুমতিতে পীর সাহেব থেকে পৃথক হবে না।
১৯. পীর সাহেবের আওয়াজের উপর নিজের আওয়াজকে উঁচু করবে না। উঁচু আওয়াজে তার সঙ্গে কথা বলবে না। সংক্ষেপে প্রয়োজন পরিমাণ কথা বলবে এবং খুব মনোযোগ সহকারে তার জওয়াবের প্রতীক্ষা করবে।
২০. পীর সাহেবের কথাকে প্রত্যাখ্যান করবে না, এমনকি মুরীদের কথা ঠিক হলেও। বরং এরুপ বিশ্বাস রাখবে যে, শাইখের ভুল আমার ঠিকের চেয়ে ভালো।
২১. নিজের অবস্থা ভালো হোক বা মন্দ হোক, পীরকে জানাবে। কারণ, পীর সাহেব হলেন অন্তরের ডাক্তার। তাকে জানালে তিনি তা সংশোধন করবেন। পীরের কাশফের উপর নির্ভর করে নীরব থাকবে না।
২২. তার নিকট বসে ওযীফায় রত হবে না। যদি কিছু পড়া জরুরীই হয়, তাহলে তার দৃষ্টির আড়ালে বসে পড়বে।
২৩. যা কিছু বাতিনী ফয়েয লাভ হবে, তা পীরের উসীলায় হয়েছে মনে করবে। যদি স্বপ্নে বা ধ্যানযোগে অন্য বুযুর্গ থেকে তা পৌঁছেছে বলে দেখতে পায়, তাহলেও বুঝবে যে, পীরের কোন লতীফা ঐ বুযুর্গের আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইরশাদে রহমানী গ্রন্থে এমনটিই রয়েছে। জালালুদ্দীন রূমী (রহঃ) বলেন-
অর্থঃ ‘যখন তুমি কোন বুযুর্গকে পীর হিসেবে নির্বাচিত করলে, তখন তার সামনে নিজেকে সমর্পণ করো। মুসা (আঃ) এর মত খিযির (আঃ) এর আজ্ঞাধীন হয়ে যাও।’
‘হে কপটতামুক্ত ব্যক্তি! থিযিরের কাজের প্রতি ধৈর্যধারণ করো, যেন খিযির না বলেন যে, চলে যাও। এখন তোমার আর আমার পথ ভিন্ন।’
ফরীদউদ্দীন আত্তার (রহঃ) বলেন-
অর্থঃ ‘হে মন! এ পথে ভ্রমণের বাসনা যদি তোমার থাকে, তাহলে পথপ্রদর্শকের আঁচল ধরো, আর তার অনুসরণ করো।
হে ফরীদ! খাঁটি মুরীদ হও। তাহলে মারিফাতের খাজানার চাবি হাতে পেয়ে যাবে।
হে পথের অন্বেষী! পথপ্রদর্শকের আঁচল ধরো। আর তোমার যাবতীয় কিছু তার পথে বিলিয়ে দাও।
আল্লাহর খোঁজে যদি শত বছরও পথ চলো, আর তোমার কোন পথপ্রদর্শক না থাকে, তাহলে তা পন্ডশ্রম হবে।
পথসঙ্গী ছাড়া যে প্রেমের পথে চললো, তার সারাজীবন নিঃশেষ হলো, অথচ প্রেম সম্পর্কে অনবহিতই রয়ে গেলো।
নিজের পীরকে নিঃশর্ত শাসক মনে করো, তাহলে ফকিরীর পথে সত্যের পরিচয় লাভ করবে।
তিনি যা কিছু বলেন, বিনা বাক্যে তা মেনে চলো, তার পায়ের মাটিকে চোখের সুরমা বানাও।
তিনি যা কিছু বলেন, তুমি আপাদমস্তক কর্ণ হয়ে তা শোনো। যেন তিনি তোমাকেই বলতে না বলেন। নীরব থাকো।
বিঃদ্রঃ-উপরোল্লেখিত আদবসমূহ যে, একজন কামিল শাইখের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, তা ভালো করে বুঝতে হবে। একজন মুরীদ যেন কারো দ্বারা প্রতারিত না হয়, সেজন্য কামেল শাইখের কিছু আলামত এখানে তুলে ধরা হচ্ছে-
১. সাধারণ মানুষের তুলনায় বিশেষ ব্যক্তিগণের অর্থাৎ, আলেম ও বুযুর্গদের নিকট তার গ্রহণযোগ্যতা অধিক হতে হবে।
২. তার সান্নিধ্যের এ প্রভাব হতে হবে যে, আল্লাহর দিকে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং দুনিয়ার চিন্তা লোপ পেতে থাকে।
৩. তার কথাবার্তা পূর্ববর্তী বুযুর্গদের কথাবার্তার অনুরুপ হতে হবে।
৪. কোন কামিল লোকের পক্ষ থেকে ইজাযতপ্রাপ্ত হতে হবে।
৫. মুত্তাকী তথা পরহেযগার হতে হবে। অর্থাৎ, সঠিক ও সুস্পষ্ট দলীলের পরিপন্থী কোন কাজের উপর অটল না থাকতে হবে। কদাচিৎ ভুল-ত্রুটি হয়ে যাওয়া কামিল হওয়ার পরিপন্থী নয়। তার দ্বারা বাহ্যতঃ শরীয়তবিরোধী কোন কাজ বা কথা দেখা দিলে শরীয়তের মূলনীতির ভিত্তিতে তার কোন ব্যাখ্যার সুযোগ থাকতে হবে।
উপরোক্ত গুণাবলীর অধিকারী কোন ব্যক্তিকে পেলে গনীমত মনে করবে এবং আন্তরিকভাবে তার দাসে পরিণত হবে। আর তা না হলে তার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। বিশেষ করে যে কুরআন-হাদীস বিরোধী কাজ করে, তার সঙ্গে কখনও বসবে না এবং মিশবে না। কারণ, এমন লোকের সান্নিধ্য দ্বীন ও ঈমান থেকে মানুষকে রিক্ত করে দেয়।
আল্লাহর আরেফ জালালুদ্দীন রূমী (রহঃ) বলেন-
অর্থঃ ‘অনেক মানুষরুপী শয়তান রয়েছে, তাই সবার হাতে হাত দেওয়া উচিত নয়।
যতসব শয়তানী কাজ করে, অথচ নাম তার ওলী। সেই যদি ওলী হয়, তাহলে ওলীর উপর লা’নত।’
আল্লাহর আরেফ সিরাযী (রহঃ) বলেন-
অর্থঃ ‘এ পথের বুযুর্গের প্রথম উপদেশ এই যে, অসাধু লোকদের থেকে দূরে থাকো।’
ফায়দাঃ একইভাবে সমস্ত হকের অধিকারীদের তথা বাবা-মা, সন্তান, চাচা, মামা, স্বামী, স্ত্রী, প্রতিবেশী, সাধারণ মানুষ, পশুপাখীর হক আদায় করাও শোকরের অন্তর্ভুক্ত। এতদবিষয়ে কাজী সানাউল্লাহ সাহেব (রহঃ) কৃত ‘হাকীকাতুল ইসলাম’ কিতাবটিই যথেষ্ট।
Leave a Reply