অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত ঈমানের শাখাসমূহের বর্ণনা – ৬

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: ফুরুউল ঈমান
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)
অঙ্গীকার রক্ষা করা
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো।’ (সূরা মায়িদা-১)
তিনি আরো ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘এবং তোমরা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করো, যখন তোমরা অঙ্গীকার করো।’ (সূরা নাহ্ল-৯১)
তিনি আরো ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘এবং তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (সূরা বানী ইসরাঈল-৩৪)
অর্থাৎ, কিয়ামতের দিন অঙ্গীকার পুরা করেছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হবে।
পূর্বে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, অঙ্গীকার পুরা না করা মুনাফেকীর আলামত।
আফসোস! এ যুগে অঙ্গীকার পুরা করার চিন্তা খুব কম লোকের মধ্যেই রয়েছে। ওয়াদা করে মানুষকে আশা দিয়ে অবশেষে নিরাশ করে। এ ব্যাপারে খুব সজাগ-সতর্ক হওয়া উচিত। ভালো করে বুঝে শুনে ওয়াদা করা উচিত। তারপর যতদূর সম্ভব তা পুরা করা উচিত। তবে শরীয়ত বিরোধী ওয়াদা হলে তা পুরা করা ঠিক নয়।
ধৈর্য
হাদীস শরীফে এসেছে-
‘ধৈর্য ঈমানের অর্ধেক।’
ইমাম বাইহাকী (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘নিশ্চয় আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা বাকারা-১৫৩)
বিনয়
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে বিনয় অবলম্বন করে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। ফলে সে নিজের অন্তরে ছোট হয়, আর মানুষের চোখে বড় হয়। আর যে ব্যক্তি অহংকার করে আল্লাহ তাআলা তাকে লাঞ্ছিত করেন। ফলে সে মানুষের চোখে ছোট হয়, আর নিজের মনে বড় হয়। এমনকি সে মানুষের নিকট কুকুর-শূকরের চেয়েও অধিক হেয় হয়ে যায়।’
হাদীসটি ইমাম বাইহাকী (রহঃ) ‘শুআবুল ঈমান’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- এমন কোন ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যার মধ্যে সরিষা বরাবরও ঈমান রয়েছে এবং এমন কোন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে সরিষা বরাবরও অহংকার রয়েছে।
অপর এক বর্ণনায় আছে যে, যার অন্তরে কণা পরিমাণ অহংকার রয়েছে।
জনৈক ব্যক্তি নিবেদন করলো যে, মানুষের মন চায় তার কাপড় উৎকৃষ্ট হোক, তার জুতা উৎকৃষ্ট হোক, (অর্থাৎ, এসব কিছুও কি অহংকার?) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- আল্লাহ তাআলা নিজে সুন্দর! তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। অহংকার তো হলো, সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছ মনে করা। (অর্থাৎ, পরিপাটি থাকা অহংকার নয়।) (মুসলিম)
ফায়দাঃ বিনয়ের মধ্যে বড়দেরকে সম্মান করাও অন্তর্ভুক্ত। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে আমাদের বড়দের সম্মান করে না এবং ছোটদের উপর দয়া করে না।’
দয়া ও স্নেহ
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি-
‘কেবলমাত্র হতভাগ্যের অন্তর থেকেই দয়ার গুণ বিদূরিত করা হয়।’ (আহমাদ, তিরমিযী)
আবদুল্লাহ বিন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘দয়াকারীদের উপর দয়ালু আল্লাহ দয়া করে থাকেন। তোমরা জমিনওয়ালাদের উপর দয়া করো, তোমাদের উপর আসমানওয়ালা (আল্লাহ পাক) দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ)
নু’মান বিন বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘মুসলমানদেরকে পরস্পরের প্রতি সমবেদনা, ভালোবাসা ও স্নেহ-মমতার দিক থেকে এমন পাবে, যেমন দেহের অঙ্গসমূহ। একটি অঙ্গ অসুস্থ হলে সারা দেহ বিনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।’ (বুখারী, মুসলিম)
আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্ত্তষ্ট থাকা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘মানুষের সৌভাগ্যের অন্যতম হলো, আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণ কামনা করা এবং আল্লাহ তাআলার ফয়সালার উপর খুশী থাকা এবং মানুষের দুর্ভাগ্যের অন্যতম হলো, আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা পরিত্যাগ করা এবং আল্লাহ তাআলার ফয়সালার উপর অসন্ত্তষ্ট থাকা।’ (তিরমিযী)
ফায়দাঃ আল্লাহ তাআলার ফয়সালার উপর সন্ত্তষ্ট থাকার জন্য অন্তর ব্যথিত না হওয়া জরুরী নয়। ব্যথার বিষয়টি সহজাত, যা মানুষের ইচ্ছাধীন নয়। বরং এর অর্থ হলো, মন আল্লাহর ফয়সালাকে পছন্দ করতে হবে। যেমন ফোঁড়াওয়ালা অস্ত্রপচারকারীকে খুশী মনেই অস্ত্রপচার করার অনুমতি দেয়। তবে ব্যথা অবশ্যই হয়ে থাকে। হাঁ, ভাবাবেগের প্রাবল্যের কারণে কতকসময় ব্যথা অনুভূত হয় না, কতক সময় বরং আনন্দ হয়ে থাকে। আধ্যাত্মিকতার পথের অধিকাংশ মধ্যপন্থী পথিকের এ অবস্থা হয়ে থাকে। আর পূর্ণতার অধিকারী ও স্থিতিশীলদের দুঃখ-বেদনা সবকিছুই হয়ে থাকে, কিন্ত্ত কোন অভিযোগ তাদের মুখ থেকে বের হয় না এবং প্রকৃত শাসক মহান আল্লাহর মর্জির খেলাফও কোন কাজ তারা করেন না। এটি অধিকতর পূর্ণতার বিষয়। তারা ব্যথা উপলব্ধি করা সত্ত্বেও নিজেদেরকে সংবরণ করেন। যদি ব্যথাই না হয়, তবে আত্মসংবরণ কোন জটিল বিষয় নয়। ব্যথার অস্তিত্ব না থাকলে সেখানে ধৈর্য ধরার প্রশ্নই আসে না। হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর ধৈর্য এবং আল্লাহর ফয়সালার উপর তার সন্ত্তষ্টি প্রশ্নাতীত। হযরত ইউসুফ (আঃ)কে হারিয়ে যে দুঃখ-বেদনার অবস্থা তার হয়েছিল তা সবারই জানা। তার সন্তানেরা তাকে বুঝালে উত্তরে তিনি বলেছিলেন-
অর্থঃ ‘আমি তো আমার অস্থিরতা আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি যা জানি, তা তোমরা জানো না।’ (সূরা ইউসুফ-৮৬)
খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বর্ণিত আছে-
‘আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সন্তান হযরত ইবরাহীম (রাযিঃ) যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখন হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাঁদতে আরম্ভ করেন। আবদুর রহমান বিন আউফ (রাযিঃ) অবাক হয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনিও কাঁদছেন? তিনি বললেন, হে আউফের পুত্র! এটি তো দয়া। তারপর তিনি পুনরায় কাঁদলেন এবং বললেন, নিঃসন্দেহে চোখ অশ্রু বর্ষণ করে এবং মন ব্যথিত হয়, কিন্ত্ত মুখে আমি সে কথাই বলবো, যাতে আমাদের প্রভু সন্ত্তষ্ট। হে ইবরাহীম! নিঃসন্দেহে তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত।’ (বুখারী, মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘ব্যথা তাজা থাকতে যে ধৈর্যধারণ করা হয়, তাই তো প্রকৃত ধৈর্য।’ (বুখারী, মুসলিম)
উল্লেখিত হাদীসসমূহ শোনার পর আমাদের পূর্বোক্ত দাবীর ব্যাপারে আর কোন সন্দেহ অবশিষ্ট থাকার কথা নয়।
আল্লাহর উপর ভরসা পোষণ করা
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
অর্থঃ ‘একমাত্র আল্লাহর উপরই ঈমানদারগণের ভরসা করা উচিত।’ (সূরা তাওবা-৫১)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
‘আমার উম্মত থেকে সত্তর হাজার মানুষ বিনা হিসাবে বেহেশতে প্রবেশ করবে। এরা ঐ সমস্ত লোক, যারা ঝাড়-ফুঁক করে না, অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করে না এবং নিজেদের প্রভুর উপর ভরসা পোষণ করে।’ (বুখারী, মুসলিম)
এ হাদীসের উদ্দেশ্য হলো, তারা নিষিদ্ধ ঝাড়-ফুঁক করে না। (বিশেষ করে মিথ্যা, যাদু টোনা, বাণ মারা ইত্যাদি) আর কেউ কেউ বলেছেন যে, কোন প্রকার ঝাড়-ফুঁক না করাই উত্তম। আর অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করার অর্থ হলো-যেমন যাত্রাপথে হাঁচি দেওয়াকে বা কোন পশু সম্মুখ দিয়ে চলে যাওয়াকে অশুভ মনে করে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়া এবং যাত্রাকে অশুভ মনে করা। কারণ, প্রকৃত প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী মহান আল্লাহ পাক। তাই এত অধিক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও খটকায় আক্রান্ত হওয়া উচিত নয়। তবে ভালো লক্ষণ গ্রহণ করা উত্তম-যদিও তাতেও প্রকৃতপক্ষে কোন প্রভাব নেই, কিন্ত্ত যেহেতু তাতে আল্লাহর রহমতের আশা পোষণ করা হয়, তাই তা উত্তম। পক্ষান্তরে অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করার মধ্যে আল্লাহ তাআলার রহমত থেকে নিরাশা সৃষ্টি হয়।
তাওয়াক্কুলের স্বরুপ ও একটি বিভ্রান্তির নিরসন
বর্তমানে তাওয়াক্কুলের অর্থ এই প্রসিদ্ধ হয়েছে যে, সব ধরনের উপায়-উপকরণ পরিত্যাগ করে হাত-পা গুটিয়ে বসে যাওয়া। এ অর্থ সম্পূর্ণ ভুল। চেষ্টা করা এবং উপকরণ গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় হওয়ার প্রমাণে পুরো কুরআন-হাদীস পরিপূর্ণ। বরং তাওয়াক্কুলের এ অর্থ সম্পূর্ণ অবাস্তব ব্যাপার। কারণ, বিনা চেষ্টায় খাদ্য-পানীয় কিছু পাওয়া গেলেও তা খাওয়ার জন্য কি মুখেও দিতে হবে না? তা কি চিবুতেও হবে না? গিলতেও হবে না? তাহলে এ সবই তো খাদ্যকে পাকস্থলীতে পৌঁছানোর উপায় ও তদবীর। তাহলে আর তাওয়াক্কুল থাকলো কোথায়? এটাই যদি তাওয়াক্কুলের অর্থ হয়, তাহলে তো আজ পর্যন্ত কোন নবী বা ওলীও তাওয়াক্কুলকারী হতে পারেননি। অতএব, এমনতর তাওয়াক্কুলের দাবী কে করতে পারে?
মূলত তাওয়াক্কুলের অর্থ আর কাউকে উকিল বানানোর অর্থ একই। অর্থাৎ, মামলা পরিচালনার জন্য কাউকে উকিল বানানো হয়, তাই বলে কি যার মামলা সে চেষ্টা-তদবীর করা ছেড়ে দেয়? কিন্ত্ত এতদসত্ত্বেও মামলার সফলতা উকিলের যোগ্যতা, দক্ষতা, বাকপটুতা ও কুশলতার ফল মনে করা হয়। মামলার সফলতাকে নিজের চেষ্টা-তদবীরের ফল আখ্যা দেওয়া হয় না। ঠিক একই অবস্থা তাওয়াক্কুলেরও। শরীয়তসম্মত যে কোন চেষ্টা-তদবীর ও উপায়-উপকরণ গ্রহণ করবে ঠিকই, কিন্ত্ত তাকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী মনে করবে না। বরং এ বিশ্বাস পোষণ করবে যে, কাজ যখন হবে আল্লাহ পাকের হুকুম ও দয়াতেই হবে। বাস্তবেও আল্লাহর দয়াতেই উপায়-উপকরণ কার্যকর হয়ে থাকে। মানুষের এতে কিছুমাত্র দখল থাকে না। যেমন জমিতে বীজ বপণ করা, এটা হলো, মানুষের চেষ্টা। এখন যথাসময়ে বৃষ্টি হওয়া, মাটি ফুঁড়ে গাছ অঙ্কুরিত হওয়া, ফসল পাকা, জলবায়ুর দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা ইত্যাদি মানুষের ক্ষমতাধীন মোটেও নয়। তাই সফলতাকে আল্লাহর অনুগ্রহের ফল মনে করা ওয়াজিব। আর এটিই হলো ‘তাওয়াক্কুল’।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হবে যে, অধিকাংশ মুসলমানই তাওয়াক্কুলের নেয়ামত দ্বারা ভূষিত, তবে কিছু কিছু মানুষের চিন্তাধারার কিছুটা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। বাকী রইল, মামলা মোকদ্দমা ও জীবিকা ইত্যাদির ক্ষেত্রে যে, অনেকের মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়, তার কারণ মানুষের মধ্যে তাওয়াক্কুলের গুণ নেই বা আল্লাহর ওয়াদার উপর ভরসা নেই তা নয়। বরং এ অস্থিরতার কারণ, কেবলমাত্র এই যে, সফলতার উপায় ও সময় সুনির্দিষ্ট নয়। অনির্ধারিত ও অস্পষ্ট বিষয়ে দ্বিধা ও সংশয় জন্মাবে এটাই স্বাভাবিক।
কতক তাওয়াক্কুলকারী উপায় গ্রহণ করা ছাড়াই যে, কিছু পেয়ে যান, তা কারামতের অন্তর্ভুক্ত, যা তাওয়াক্কুলের অনাবশ্যক প্রভাব। তা প্রকৃত তাওয়াক্কুলের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিষয়টি ভালো করে বুঝে নাও।
Leave a Reply