আদাবুল মুআশারাত – ৫

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: আদাবুল মুআশারাত
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)
মেহমান হওয়ার আদব
আদব-৬১: কয়েকবার কয়েকজনকে শাসন করে বলি যে, খুব পরিষ্কার ভাষায় কথা বলবে, যেন বুঝতে ভুল না হয়।
আদব-৬২: বর্তমান যুগের সুপারিশ করা হলো, চাপ সৃষ্টি করা এবং বাধ্য করা। সুপারিশ করার নামে নিজের প্রভাব খাটিয়ে অন্যদের উপর শক্তি প্রয়োগ করা হয়, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নেই। যদি সুপারিশ করো, তাহলে এমনভাবে করো, যেন যার নিকট সুপারিশ করছো, তার স্বাধীনতার মধ্যে সামান্যতম ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। এ রকম সুপারিশ করা জায়েয, বরং সওয়াবের কাজ।
আদব-৬৩: একইভাবে কারো প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে কাজ আদায় করা, যেমন কোন বড় মানুষের সাথে আত্মীয়তা আছে-এখন তার কোন ভক্ত বা প্রভাবাধীন লোকের নিকট নিজের কোন প্রয়োজন নিয়ে গেলে এবং লক্ষণ দেখে জানা গেলো যে, সে খুশিমনে এ প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা করবে না, বরং শুধুমাত্র ঐ বড় মানুষের সম্পর্ক বা প্রভাবের কারণে-অর্থাৎ তার অসন্ত্তষ্টির ভয়ে করে দেবে। তাহলে এভাবে কাজ আদায় করা বা কাজের ফরমায়েশ করা হারাম।
আদব-৬৪: এক ব্যক্তি তাবিজ চাইলে তাকে নির্দিষ্ট একটি সময়ে আসার কথা বলে দেই। সে অন্য সময়ে এসে তাবিজ চায় এবং বলে যে, আমাকে তুমি আসতে বলেছো, তাই এসেছি। কিন্ত্ত একথা প্রকাশ করেনি যে, কখন আসতে বলেছিলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, ভাই কোন সময় আসতে বলেছিলাম? তখন সে ঐ সময়ের কথা বললো। আমি বললাম যে, এখন তো অন্য সময়। যখন আসতে বলেছিলাম তখন আসা উচিত ছিলো। সে কোন সমস্যার কথা বললো। আমি বললাম, তোমার যেমন তখন সমস্যা ছিলো, এখন আমারও তেমন সমস্যা রয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব যে, সব সময় এক কাজের জন্যই বসে থাকবো, আমার নিজের কোন কাজ করবো না?
আদব-৬৫: একজন ছাত্র অন্য একজন ছাত্রের মারফত একটি মাসআলা জিজ্ঞাসা করে, আর নিজে লুকিয়ে শোনার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। ঘটনাচক্রে আমি তাকে দেখে ফেলি। কাছে ডেকে এনে ধমকিয়ে বুঝিয়ে দেই যে, চোরের মত লুকিয়ে শোনার কি অর্থ? কেউ কি এখানে আসতে নিষেধ করেছে? আর যদি শরমই করে তাহলে তোমার প্রেরিত লোকের নিকট থেকে উত্তর জিজ্ঞাসা করে নিতে। লুকিয়ে কারো কথা শোনা দোষণীয় এবং গুনাহের কাজ। কারণ, হতে পারে যে, বক্তা এমন কোন কথা বলবে, যা লুকায়িত ব্যক্তির নিকট থেকে গোপন করতে চায়।
আদব-৬৬: এক ব্যক্তি হাতে টানা পাখা ঝুলাচ্ছিলো। আমি একটি কাজের জন্য উঠতে লাগলে সে পাখার রশি নিজের দিকে খুব জোরে টেনে ধরে, যাতে পাখা আমার মাথায় বাড়ি না খায়। আমি তাকে বুঝিয়ে বলি যে, এমন করো না। আমি যদি পাখার জায়গা খালি দেখে দাঁড়িযে যাই আর হঠাৎ তোমার হাত থেকে রশি ছুটে যায়, তাহলে পাখা মাথায় এসে লাগবে। বরং রশি সম্পূর্ণরুপে ছেড়ে দেওয়া উচিত। যাতে পাখা স্বস্থানে এসে স্থির হয়ে যায়, তারপর যে উঠবে সে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে উঠবে।
আদব-৬৭: মেহমান যদি মরিচ কম খায় বা বেছে খায় তাহলে পৌঁছেই মেযবানকে জানিয়ে দেওয়া উচিত। কতক লোক দস্তরখানে খাবার এলে তখন নাক ছিটকায়।
আদব-৬৮: দস্তরখানে কোন কোন সময় চিনিও থাকে। তখন কতক খাদেম এমনভাবে পাখা ঝুলায় যে, চিনির পাত্র থেকে চিনি উড়তে আরম্ভ করে। আর কখনো চিনির পাত্র থেকে চামচে করে চিনি নেওয়ার সময় চামচ থেকে চিনি উড়তে থাকে। তাই খাদেমের এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকা উচিত।
আদব-৬৯: আমার ভাইয়ের বাড়ী থেকে ডাকে পাঠানোর জন্য ইনভিলাপে ভরা একটি চিঠি তাদের কর্মচারীর হাতে আমার নিকট পাঠানো হয়। আমিই সেটি পাঠাতে বলে এসেছিলাম। কারণ, আমার সাথে ঐ চিঠির সম্পর্ক ছিলো। পথের মধ্যে ঐ কর্মচারী দেখে যে, ডাকপিয়ন চিঠি নিয়ে ষ্টেশনে যাচ্ছে। তখন কর্মচারী এ কথা চিন্তা করে যে, পোষ্ট অফিসে চিঠি দিলে কাল যাবে, চিঠিটি ঐ পিয়নের নিকট দিয়ে দেয়। যেন চিঠি আজকেই চলে যায়। ওদিকে আমি চিঠির প্রতীক্ষায় বসে আছি। যখন চিঠি এলো না, তখন আমি খোঁজ করলাম। খোঁজ করে এসব ঘটনা জানতে পারলাম। আমি কর্মচারীটিকে ডেকে উপদেশ দিয়ে বলি যে, তুমি অনুমতি ছাড়া আমানতের মধ্যে কীভাবে হস্তক্ষেপ করলে? আমার নিকট পাঠানোর মধ্যে যে রহস্য ছিলো তুমি তার কী জানো? পিয়নের হাতে চিঠি না দিয়ে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পাঠানোকে কি কারণে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, তুমি তার কী জানো? তুমি তোমার ভুল চিন্তার ফলে এ সমস্ত উপকারিতাকে বরবাদ করেছো। তোমার নাক গলানোর কী দরকার ছিলো? তোমার কাজ শুধু এতটুকু ছিলো যে, চিঠিটি আমার নিকট পৌঁছে দিবে। কর্মচারীটি ভুল স্বীকার করে বলে যে, ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।
আদব-৭০: একজন ছাত্র বাজারে যাওয়ার অনুমতি নিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। আমি একটি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। সে আমার অবসর হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। তার দাঁড়িয়ে থাকা আমাকে তাগাদা করছিলো, বিধায় তা আমার জন্য বোঝা মনে হচ্ছিলো। আমি তাকে বুঝিয়ে বলি যে, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় মনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। তোমার উচিত ছিলো, আমাকে যখন ব্যস্ত দেখলে, তখন বসে পড়তে। কাজ শেষে হলে তখন কথা বলতে।
আদব-৭১: একজন মেহমান আমাকে না জানিয়ে হাদীয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমার কলমদানীতে দু’টি টাকা রেখে দেয়। আমি আসর নামায পড়ার জন্য চলে যাই। কলমদানী সেখানেই রাখা থাকে। নামাযের পর কোন প্রয়োজনে কলমদানী চেয়ে পাঠাই। তখন তার মধ্যে টাকা দেখতে পাই। জিজ্ঞাসা করা হলে কিছুটা বিলম্ব করে লোকটি একথা স্বীকার করে। আমি এ কথা বলে সে টাকা ফিরিয়ে দেই যে, যখন তুমি সঠিক পদ্ধতিতে হাদীয়া দিতে জানো না, তখন হাদীয়া দেওয়ারই বা কি দরকার ছিলো? হাদীয়া দেওয়ার নিয়ম কি এই?
প্রথমত, হাদীয়া দেওয়া হয় আরাম ও আনন্দ দানের জন্য, আর যখন এর তল্লাশীতে এ পরিমাণ পেরেশানী হলো, তখন তার উদ্দেশ্যই হাতছাড়া হয়ে গেলো।
দ্বিতীয়তঃ যদি কেউ কলমদানী থেকে টাকাগুলো নিয়ে যেতো, তাহলে না তুমি জানতে পারতে, না আমি জানতে পারতাম। তুমি তো এ ধারণা পোষণ করতে যে, আমি দু’টাকা দিয়েছি। আর আমি তাদ্বারা কোনই উপকৃত হতাম না। ফলে মুফত দয়ার ভার আমার মাথার উপর থাকতো।
তৃতীয়তঃ যদি কেউ নাও নিয়ে যেতো বরং তা আমার হাতেই আসতো, তখনো আমি কি করে জানতাম যে, এটি কে দিয়েছে এবং কাকে দিয়েছে? আর যখন তা জানতে পারতাম না, তখন কয়েকদিন আমানতস্বরুপ রাখতে আমার কষ্ট হতো। তারপর পড়ে পাওয়া জিনিসের খাতে খরচ করা হতো। এ সমস্ত মুসীবত এ লৌকিকতার কারণে দেখা দিলো। সোজা কথা তো হলো, যাকে দেওয়ার সরাসরি তার হাতে দিয়ে দিবে। আর যদি লোকজনের কারণে সংকোচ হয়, তাহলে নির্জনে দিবে। আর যদি নির্জনে দেওয়ার সুযোগ না হয়, তাহলে বলবে যে, আমি একাকী কিছু বলতে চাই। তারপর নির্জনে দিয়ে দিবে। আর যাকে হাদীয়া দেওয়া হয়, তার সমীচীন ঐ হাদীয়ার কথা প্রকাশ করে দেওয়া, হাদীয়াদাতার উপস্থিতিতে হোক, বা তার লজ্জা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তার চলে যাওয়ার পর হোক।
আদব-৭২: এক সফরে এক জায়গার লোকেরা আমাকে ডেকে নেয়। সেখান থেকে যখন বিদায় নিয়ে আসবো, তখন গ্রামের লোকেরা সবাই কিছু কিছু অর্থ একত্র করে হাদীয়া স্বরুপ দিতে ইচ্ছা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি তাদেরকে এমন করতে কঠোরভাবে নিষেধ করি।
এর মধ্যে একটি খারাপ দিক তো এই যে, অনেক সময় হাদীয়া সংগ্রহকারী ব্যক্তি এদিকে লক্ষ্য করে না যে, যার থেকে সংগ্রহ করছে সেকি খুশী মনে দিচ্ছে, নাকি তার কথার চাপে দিচ্ছে।
দ্বিতীয়, খুশি মনে দেওয়ার বিষয়টি যদি লক্ষ্য করেও তবুও হাদীয়া দেওয়ার যে মূল উদ্দেশ্য-পারস্পরিক মুহাব্বত বৃদ্ধি পাওয়া-তা লাভ হবে না। কারণ, কে হাদীয়া দিলো তাই তো জানা গেলো না।
তৃতীয়, অনেক সময় কোন ওযরবশতঃ কোন কোন হাদীয়া কবুল করা যায় না। সে ওযর বা সমস্যার বিষয়টি হাদীয়াদাতার নিকট থেকেই যাচাই করা সম্ভব। সম্মিলিত হাদীয়ার মধ্যে এটা যাচাই করাও কঠিন হয়ে থাকে। বিধায় যাকে দেওয়ার দাতা তার হাতে সরাসরি দিবে, বা কোনরুপ উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়া স্বউদ্যোগে নিজের কোন বিশ্বস্ত লোকের হাতে পাঠিয়ে দিবে, বা হাদীয়াদাতা হাদীয়ার সাথে চিরকুট লিখে দিবে।
আদব-৭৩: এক সফরে কিছু লোক আমাকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে হাদীয়া দিতে আরম্ভ করে। তাদেরকে বুঝিয়ে বলি যে, এমন করা হলে যারা এটা দেখবে, তারা তাদের বাড়ীতে নেওয়ার জন্য হাদীয়া দেওয়াকে জরুরী মনে করবে। তখন গরীব লোক ডেকে নিয়ে সমস্যায় পড়বে, বা না ডেকে আক্ষেপ করতে থাকবে। কারো কোন কিছু দিতে হলে আমার অবস্থান স্থলে এসে কথা বলবে, যাতে আমার স্বাধীন মতামতের মধ্যে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়।
আদব-৭৪: এক ব্যক্তি সাহারানপুর থেকে জুমুআর দিন দুপুর বারোটার গাড়ীতে এখানে আসে। আমার এক আত্মীয় তার হাতে কিছু বরফ পাঠিয়ে দেয়। সে ব্যক্তি এমন সময় মাদরাসায় এসে পৌঁছে যে, তখনো ছাত্ররা মসজিদে যায়নি। লোকটি বরফ খন্ডটি একটি বড় প্লেটের মধ্যে রেখে জামে মসজিদে চলে যায়। জুমুআর পর এক বন্ধু ওয়ায করতে আরম্ভ করেন। ওয়ায করার জন্য আমিই তার নিকট দরখাস্ত করেছিলাম। আমি উপস্থিত থাকলে সে লজ্জাবোধ করবে বিধায় আমি মাদরাসায় চলে আসি। ঐ ব্যক্তি ওয়াযে অংশগ্রহণ করে অনেক বিলম্বে মাদরাসায় আসে। তারপর বরফ এনে আমাকে দেয়। বরফ খন্ডটি একটি রুমালে জড়ানো ছিলো। প্রথমতঃ এ কাজটিই আমার অপছন্দ হয়। বরফের সাথে কম্বল, চট বা কাঠের গুড়া আনতো। কিন্ত্ত এটি ছিলো, যে ব্যক্তি বরফ খন্ডটি পাঠিয়েছে তার কাজ। এর এখতিয়ারে এটি ছিলো না। কিন্ত্ত এর করণীয় যে কাজটি ছিলো, তাতেও সে ত্রুটি করেছে। অর্থাৎ, প্রথমতঃ এসেই বরফ বাড়ীতে পৌঁছিয়ে দিতো। কোন কারণে এটা যদি বুঝে না এসে থাকে তাহলে নামায শেষে সাথে সাথে চলে আসতো। আর যদি আসতে মন না চেয়ে থাকে তাহলে আমি যখন আসছিলাম, তখন আমাকে জানিয়ে দিতো। আমি তা নিয়ে নিতাম। এখন দু’ঘন্টা পর এসে সেই বরফ আমাকে দিচ্ছে। যার প্রায় পুরাটাই গলে গেছে। শুধু নামেমাত্র অল্প একটু বরফ রয়ে গেছে। আমি পুরো ঘটনা জানতে পেরে তাকে শাসালাম। তাছাড়া আমার মতে তার বিশেষ স্বভাবের কারণে শুধু শাসানো তার জন্য যথেষ্ট ছিলো না, তাই আমি ঐ বরফ নিতে অস্বীকার করি। যাতে তার চিরদিন মনে থাকে। সে খুব অস্থির হয়ে পড়ে। আমি তাকে বলি যে, তুমি এক ব্যক্তির আমানত বরবাদ করেছো, আর নষ্ট হওয়ার পর আমাকে তা দিতে চাচ্ছো। অনর্থক দয়ার বোঝা আমি মাথায় নিতে চাই না। এখন আর বাকী অংশ তুমি খরচ করো। তোমার হয় আমানত না নেওয়া উচিত ছিলো, আর নিয়েছিলেই যখন, তখন তার হক পুরাপুরি আদায় করা উচিত ছিলো।
আদব-৭৫: আমি সকালে মাঠ থেকে মাদরাসায় এসে তিন দরজাবিশিষ্ট ঘরটিতে বসি। সেখানে আমার এক আত্মীয় ঘুমাচ্ছিলো। আমি আস্তে করে বসে পড়ি। এক ব্যক্তি চিঠি নিয়ে যাবে, সে যে সমস্ত পত্র ডাকে পাঠাতে হবে, সেগুলো আমাকে দেখানোর জন্য নিয়ে আসে। আমি সেগুলো দেখে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার কাছে দিয়ে দেই। তখন সে চিঠি রাখার ছোট বাক্সের মধ্যে সশব্দে চিঠিগুলো রাথে। ফলে কার্ড বাক্সের সাথে বাড়ী খেয়ে শব্দ করে উঠে। আমি তাকে উপদেশ দিয়ে বলি, ঘুমন্ত ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত।
আদব-৭৬: একবার ইশার নামাযের পর আমি মসজিদে শুয়ে পড়ি। এক অপরিচিত মুসাফির ব্যক্তি এসে আমার পা চাপতে আরম্ভ করে। তার এ পা চাপা আমার জন্য বোঝা মনে হয়। জিজ্ঞাসা করলাম-কে? সে তার নাম ঠিকানা বললো। কিন্ত্ত আমি চিনলাম না। আমি পা টিপতে নিষেধ করলাম। বললাম যে, প্রথমে মোলাকাত করা উচিত। তারপর অনুমতি নিয়ে খেদমত করায় সমস্যা নেই। তা না হলে খেদমত করায় কষ্ট হয়। আর যদি এর দ্বারা মোলাকাতই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে মোলাকাতের পদ্ধতি এটা নয়। তারপর আমি তাকে বুঝিয়ে দেই যে, এখন
ইশার পর বিশ্রামের সময়। তুমিও বিশ্রাম করো। সকালে দেখা করো। সুতরাং সে সকালে দেখা করলো। তখন পুনরায় বিষয়টি ভালো করে বুঝিয়ে দেই।
Leave a Reply