উৎস:
ইসলাহী নেসাব: কসদুস সাবীল
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

অতীতের গুনাহসমূহ থেকে তাওবা করে যখন ভবিষ্যতের জন্য দৃড় সংকল্প করবে যে, আল্লাহ তাআলা এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ-নিষেধ পরিপূর্ণরুপে মেনে চলবো। তাতে যত পরিশ্রম হোক, পার্থিব যত ক্ষতি হোক বা মানুষ তিরস্কার করুক না কেন, তা সহ্য করবো।

বলা বাহুল্য যে, এ কাজ দ্বীন সম্পর্কে জরুরী ইলম অর্জন করা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন পরিমাণ শরীয়তের বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়িলের ইলম অর্জন করা তার জন্য জরুরী হবে। চাই কিতাব পড়ে হোক বা আলেমদের থেকে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিয়ে হোক। আর কিতাব পড়ার ক্ষেত্রে আরবী, ফার্সী, উর্দূ বা স্থানীয় যে কোন ভাষায় দ্বীনের জরুরী মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা করবে। এর জন্য সহজ উর্দূ ভাষায় লেখা সাইয়্যেদী হযরত হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) কর্তৃক রচিত ‘বেহেশতী যেওর’ এবং ‘বেহেশতী গাওহার’ কিতাব কোন আলেমের নিকট এক একটি সবক করে পড়বে বা নিজেই অধ্যয়ন করবে।

হযরতের লেখা ‘সাফাইয়ে মুয়ামালাত’, ‘আদাবে মুয়াশারাত’ পুস্তিকা এবং ‘মিফতাহুল জান্নাত’ কিতাবের তৃতীয় অধ্যায় পড়ে নিলে দ্বীন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন মাসআলার জন্য যথেষ্ট হবে। যে মাসআলা শিক্ষা করবে, তার উপর আমল করার দৃঢ় সংকল্পও করবে। যাতে করে রিপুর তাড়না ও মানুষের তিরস্কার আমলের ক্ষেত্রে বাধা না হয়।