মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করে পণ্য পরে নেওয়ার বর্ণনা

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: সাফাইয়ে মুয়ামালাত
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)
অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করে পণ্য পরে উসুল করার জন্যে কয়েকটি শর্ত আছে। যথা-
ক. টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে।
খ. পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ থাকতে হবে, যেন পরবর্তীতে কোন প্রকার বিরোধের সুযোগ না থাকে।
গ. (পণ্য এবং বিনিময় মূল্যের) পরিমাণ নির্ধারিত হতে হবে। যেমন, বিশ সের বা পঁচিশ সের হিসেবে নেবো। আর যদি বলে যে, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে পাঁচ সের বেশি নেবো তাহলে তা জায়েয হবে না।
ঘ. পণ্য বহন করা কষ্টসাধ্য হলে তা পরিশোধ করার জায়গাও উল্লেখ করতে হবে। যেমন, শস্য খামার থেকে নিবে, বা বিক্রেতার বাড়ি থেকে নিবে বা ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে।
ঙ. কমপক্ষে এক মাসের মেয়াদ নির্ধারিত হতে হবে। এর চেয়ে কম মেয়াদের হতে পারবে না। বেশি হলে দোষ নেই।
চ. চুক্তির সময় থেকে নিয়ে পরিশোধ করা পর্যন্ত সব সময় পণ্যটি (বাজারে) পাওয়া যেতে হবে।
মাসআলাঃ যথাসময়ে ঐ পণ্য পাওয়া না গেলে এবং উভয়ে এর বিনিময়ে অন্য জিনিস লেনদেন করতে চাইলে তা জায়েয হবে না। তাই হয় টাকা ফেরত নিয়ে নিবে, বা ঐ টাকা দিয়ে অন্য কোন জিনিস ক্রয় করে নিবে, অথবা ঐ জিনিস পাওয়া পর্যন্ত (বিক্রেতাকে) সুযোগ দিতে হবে।
মাসআলাঃ উপরোক্ত অবস্থায় টাকা ফেরত নিতে চাইলে যে পরিমাণ টাকা দিয়েছিলো ঐ পরিমাণই ফেরত নিতে হবে। কতক জায়গায় প্রচলন আছে যে, ঐ সময়ের বাজারমূল্য হিসেবে অধিক টাকা নিয়ে থাকে, এটা হারাম এবং সুদ।
মাসআলাঃ যায়েদ আমরকে অগ্রিম টাকা দিয়ে পরবর্তীতে পণ্য নেওয়ার চুক্তি করলো। তখন বকর যায়েদকে বললো যে, তুমি ঐ পরিমাণ টাকা আমার থেকে নিয়ে নাও এবং আমরকে বলো, ঐ পণ্য আমাকে দিয়ে দিতে। বা বললো যে, অর্ধেক পরিমাণ টাকা আমার থেকে নিয়ে নাও এবং আমরের থেকে যে পণ্য পাবে তার অর্ধেকের মধ্যে আমাকে অংশীদার করো-এ উভয় পদ্ধতি নাজায়েয।
Leave a Reply