উৎস:
ইসলাহী নেসাব: সাফাইয়ে মুয়ামালাত
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

মাসআলাঃ ‘শফী’ বা অগ্রক্রয়াধিকারী ব্যক্তির নিকট বিক্রয়ের সংবাদ পৌঁছার পর সাথে সাথে যদি মৌখিকভাবে ‘শুফআ’র দাবী করার ঘোষণা না দেয় তাহলে ’শুফআ’ তথা অগ্রক্রয়াধিকার বাতিল হয়ে যাবে। তারপর আর ‘শুফআ’র দাবী করা তার জন্যে জায়েয নয়। এমনকি অগ্রক্রয়াধিকারী ব্যক্তির নিকট যদি চিঠি পৌঁছে আর চিঠির শুরুতেই যদি এ খবর লেখা থাকে যে, ‘অমুক জায়গাটি বিক্রি হয়েছে-আর সে এটা পড়ার সাথে সাথে না বলে যে, ’আমি ‘শুফআ’র দাবী করবো,’ আর এ অবস্থায় সম্পূর্ণ চিঠি পড়ে ফেলে এবং তারপর বলে যে, ‘আমি ‘শুফআ’র দাবী করবো’ তাহলে তার এ অধিকার বাতিল হয়ে যাবে।

মাসআলাঃ ‘শফী’ তথা অগ্রক্রয়াধিকারী ব্যক্তি যদি বলে যে, আমাকে এতো টাকা দাও তাহলে আমি আমার ‘শুফআ’র দাবী ছেড়ে দিবো তাহলে এমতাবস্থায় সে যেহেতু নিজের হক ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে তাই তার হক আর থাকবে না। তবে ঘুষ হওয়ার কারণে এ টাকা নেওয়া হারাম হবে।

মাসআলাঃ বিচারপতি ‘শুফআ’ তথা অগ্রক্রয়াধিকারের ফয়সালা দেওয়ার পূর্বেই যদি ‘শফী’ তথা অগ্রক্রয়াধিকারী মারা যায় তাহলে তার উত্তরাধিকারীরা ’শুফআ’ পাবে না। তবে খরিদদার মরে গেলে ‘শুফআ’ ঠিক থাকবে।

মাসআলাঃ ‘শফী’ তথা অগ্রক্রয়াধিকারী ব্যক্তি খবর পেয়েছিলো যে, এতো টাকায় বাড়ি বিক্রি হয়েছে, তখন সে ‘শুফআ’র দাবী ছেড়ে দিয়েছিলো, কিন্তু পরে জানতে পারলো যে, তার চেয়ে কম মূল্যে বাড়ি বিক্রি হয়েছে, তখন সে ‘শুফআ’র দাবী করতে পারবে। একইভাবে পূর্বে শুনেছিলো যে, অমুক ব্যক্তি ক্রয় করেছে, কিন্তু পরে শুনলো যে, অন্য ব্যক্তি ক্রয় করেছে বা পূর্বে শুনেছিলো যে, অর্ধেক বাড়ি বিক্রি হয়েছে, পরে জানতে পারলো যে, পুরা বাড়ি বিক্রি হয়েছে। এ সমস্ত অবস্থায় পূর্বে ‘শুফআ’র দাবী ছেড়ে দেওয়ার দ্বারা ‘শুফআ’র হক বাতিল হবে না।