পানির বিধান

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: সাফাইয়ে মুয়ামালাত
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)
মাসআালাঃ যার মালিকানাধীন জমিতে কুয়া, ঝর্ণা, হাউজ বা খাাল রয়েছে, সে অন্য লোকদেরকে পানি পান করা, পশুকে পানি পান করানো এবং ওযু-গোসল বা কাপড় ধোয়ার জন্যে পানি নেওয়া থেকে বা পাঁচ-দশ ঘড়া পানি নিয়ে গাছে বা কেয়ারিতে পানি দেওয়া থেকে নিষেধ করতে পারবে না। কারণ, এ পানিতে সবার হক রয়েছে। আর যদি নিজের জমিতে কাউকে আসতে বাধা দিতে চায় তাহলে দেখতে হবে যে, যে ব্যক্তি পানি নিতে চায় তার কাজ অন্যত্র থেকে সহজে সমাধা হবে কিনা? যেমন, কাছেই কোথাও কুয়া বা জলাশয় আছে। নাকি তার কাজ বন্ধ হয়ে যাবে এবং তার কষ্ট হবে। তার কাজ অন্যত্র থেকে হয়ে গেলে তো ঠিক আছে, তা না হলে তার প্রয়োজন পরিমাণ পানি তুমি নিজে তুলে বা কাউকে দিয়ে তুলিয়ে তাকে দিয়ে দাও। তবে কুয়া ও জলাশয়ের মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্যের জন্যে নিজের বাগানে বা ক্ষেতে পানি দেওয়া জায়েয নাই, এক্ষেত্রে পানিওয়ালার নিষেধ করার অনুমতি রয়েছে। নিজে নিজে উৎপন্ন ঘাস এবং কান্ডহীন সমস্ত উদ্ভিদের হুকুমও পানির মতোই। তবে কান্ডবিশিষ্ট গাছ জমিওয়ালার মালিকানাধীন।
মাসআলাঃ এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির কুয়া বা খাল থেকে নিজের ক্ষেতে পানি দিতে চাইলে আর ঐ ব্যক্তি তার থেকে এর দাম নিলে তা জায়েয হবে কিনা এ ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। ‘বলখে’র আলিমগণ জায়েয ফতওয়া দিয়েছেন।
মাসআলাঃ মশক বা পাত্রের মধ্যে যে পানি ভরা হয়েছে, তার মধ্যে অন্য কারো হক নেই। তবে যদি পিপাসায় অস্থির হয়ে যায় এবং পানির মালিকের নিকট তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি থাকে এবং দামের বিনিময়েও না দেয় তাহলে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়াও জায়েয আছে।
Leave a Reply