উৎস:
ইসলাহী নেসাব: যাদুস সাঈদ
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

এক. জীবনে একবার দুরুদ শরীফ পড়া ফরয। কারণ, আল্লাহ তাআলা (তোমরা দুরুদ পাঠ করো) বলে দুরুদ পাঠ করার হুকুম করেছেন। আয়াতটি দ্বিতীয় হিজরীর শা’বান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে।
দুই. এক মজলিসে একাধিকবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম নেওয়া হলে ইমাম তাহাবী (রহঃ)-এর মতে নাম উচ্চারণকারী এবং শ্রবণকারী প্রত্যেকের জন্য প্রত্যেকবার দুরুদ শরীফ পড়া ওয়াজিব। কিন্তু ফতোওয়া এ কথার উপর যে, একবার পড়া ওয়াজিব, তারপর মুস্তাহাব।
তিন. নামাযের শেষ বৈঠক ছাড়া অন্য কোন রুকনের মধ্যে দুরুদ পাঠ করা মাকরুহ।
(দুররে মুখতার)
চার. খুতবার মধ্যে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম এলে বা খতীব সাহেব এ আয়াত পড়লে জিহ্বা না নেড়ে মনে মনে বলবে। (দুররে মুখতার)
পাঁচ. ওযু ছাড়া দুরুদ শরীফ পড়া জায়েয। আর ওযুর সাথে পড়া অতি উত্তম।
ছয়. নবী ও ফেরেশতাগণ ছাড়া অন্য কারো উপর সরাসরি দুরুদ পাঠ করবে না, তবে তাদের অধীনস্ত হিসাবে পড়লে অসুবিধা নেই। যেমন এ রকম বলবে না যে, বরং এভাবে বলবে যে, (দুররে মুখতার)
সাত. দুররে মুখতার কিতাবে আছে যে, ব্যবসা-বাণিজ্য আরম্ভ করা বা এ জাতীয় কোন ক্ষেত্রে অর্থাৎ, যেখানে দুরুদ শরীফ পড়া মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং দুনিয়ার কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দুরুদ শরীফকে মাধ্যম বানানো হয়, সেখানে দুরুদ শরীফ পড়া নিষিদ্ধ।
আট. দুররে মুখতার কিতাবে আছে যে, দুরুদ শরীফ পড়ার সময় অঙ্গ সঞ্চালন করা এবং উচ্চস্বরে দুরুদ পড়া অজ্ঞতা। এতে জানা গেলো যে, কতক জায়গায় নামাযের পর সম্মিলিতভাবে উচ্চস্বরে সম্মিলিতভাবে দুরুদ শরীফ পড়ার যে প্রচলন রয়েছে, তা পরিত্যাজ্য।